পঞ্চায়েতে হিংসার ঘটনায় বিরোধীদেরকে বিঁধলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা, আঙুল তুললেন রাজ্য়পালের দিকেও

শনিবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রবিবারও রাজ্যে ঘটছে তার জেরে পড়েছে রাজ্যের নানা অংশে। ঘটেছে একের পর এক হিংসার ঘটনা। মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ছবি সামনে এসেছে। নির্বাচনের দিন ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, বেসরকারি মতে এই সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৮। অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে এই সংখ্যা ১০। ফলে বিরোধীরা এই ইস্যুতে বিদ্ধ করছেন রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সামনে নিয়ে আসছেন ব্যর্থতার নানা ছবি। এমনই এক প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য হিংসার ঘটনার জন্য সরাসরি বিরোধীদেরই দায়ী করলেন। শুধু তাই নয়, চন্দ্রিমার নিশানায় ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

শনিবার ছিল বাংলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন জেলা। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে, গুলি চলেছে। বাংলার প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রাণ গেছে ভোটারেরও। এরই রেশ টেনে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ‘কয়েকটি ঘটনা তো ঘটেছে। বিরোধীরা ও শ্রদ্ধেয় রাজ্যপাল এত প্ররোচনা দিয়েছেন তাতেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ সঙ্গে চন্দ্রিমা এও জানান, ‘সব মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে যতজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কর্মী ও প্রার্থীর সংখ্যাই বেশি।’

শুধু মারামারি, খুনোখুনি, বোমাবাজির ঘটনা নয়, শনিবার ভোটলুঠ, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ভোটলুঠ, ছাপ্পা ভোটের কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু যে শতাংশ ভোট পড়েছে, তাতে সে কথা বলে না।’ উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০.০৯ শতাংশ।

হাইকোর্টের নির্দেশে, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছিল কমিশন। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর অস্তিত্ব নিয়ে। কেউ কেউ আবার মজা করে বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী খুঁজতে চোখে দূরবীন লাগাতে হয়েছে।’ এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন ও বিএসএফের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সংবাদও প্রকাশ্যে এসেছে। কমিশন-বিএসএফ-এর এই তরজা নিয় এদিন সরব হন চন্দ্রিমাও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আদালতই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা বলেছে। ভোটের দিনে কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 17 =

preload imagepreload image