ভুয়ো কল সেন্টারের জালিয়াতির টাকা বেসরকারি স্কুলে বিনিয়োগের অভিযোগ। আর এই ঘটনায় বিধাননগর ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশের হাতে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কল সেন্টার চালিয়ে বিদেশি নাগরিকদের থেকে আত্মসাৎ করা টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ওড়িশার বেসরকারি স্কুলে। এই অভিযোগে ওড়িশা থেকে রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা গ্রেফতার করল ভুয়ো কল সেন্টারের ডিরেক্টরকে। ধৃতের নাম দিলীপ শর্মা।
পাশাপাশি রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ওড়িশার খণ্ডগিরি থেকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে ধৃত দিলীপ শর্মাকে। প্রসঙ্গত, ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে বিধাননগরের ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় মামলা হয়েছিল দিলীপ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।
বিধাননগরের এই কল সেন্টার খোলার পর শুধু ভারতীয়রাই নন, বিদেশের নাগরিকদেরও তারা প্রতারণা করত বলে জেনেছে পুলিশ। ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করে নিজেদের বিভিন্ন নামী সংস্থার আধিকারিক বলে পরিচয় দিত প্রতারকরা। তারপর তাদের কথার জালে ফাঁসিয়ে নানা কারণে টাকা চাইত।
এই মামলার ক্ষেত্রে সিআইডি জানতে পেরেছে, ধৃত ব্যক্তি দিলীপ শর্মা তাঁর স্ত্রীয়ের নামে খণ্ডগিরিতে একটি স্কুল খুলেছিলেন। ভুয়ো কল সেন্টারের জালিয়াতির টাকা স্কুলে বিনিয়োগ করতেন তিনি। কল সেন্টারে ৫০ কোটি টাকার ওপর দুর্নীতি হয়েছে বলে সিআইডি জানতে পেরেছে। এই টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা।