বিধানসভার অধিবেশনে কার্যবিবরণী কাগজ পাবেন বিজেপি বিধায়করা, বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। এরই পাশাপাশি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিধানসভার নিয়ম মানুন। রুলিং মানুন। আপনারা গণতান্ত্রিক নিয়ম মানুন। প্রত্যাশা করব কাগজ ছেঁড়া বন্ধ করবেন। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলবেন।’
অন্যদিকে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বের অধিবেশনে বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ ফের উত্থাপন করেন বিধানসভার চেয়ার টেবিল ভাঙার প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে এ প্রশ্নও করেন, যাঁরা বিধানসভায় চেয়ার টেবিল ভেঙেছেন তাঁদের কেন বিধানসভায় বসতে দেওয়া হয়?’
এদিন বিধানসভায় আলোচনা হয় টোটো নিয়েও। ব্যাটারিচালিত এই বাহনকে একসময় সাদরেই গ্রহণ করেছিল সাধারণ মানুষ। কম খরচে সহজেই অনেকটা পথ পৌঁছে যাওয়া যায়। কিন্তু সর্বত্র টোটো নিয়ে আরেক সমস্যাও। এতই বেড়েছে টোটোর সংখ্যা, রাস্তায় চলাই দায়! এবার টোটোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, ‘শিলিগুড়ি শহরকে যানজট মুক্ত করতে অ-রেজিস্ট্রিকৃত যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। টোটো কতদূর পর্যন্ত যাবে, কীভাবে যাবে, রাজ্যের তরফ থেকে সেই গাইডলাইন দেওয়া হবে। এই গাইড লাইন ঠিক করবে একটি কমিটি। যেখান পুরসভা, ট্রাফিক, নোডাল এজেন্সি, ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা থাকবেন।’একইসঙ্গে তবে পরিবহণ মন্ত্রী এও জানান, ‘যানজট হলেও তো তুলে দেওয়া যায় না। কারণ, ওদের রুটি রুজি ব্যাপার।’ সঙ্গে এও জানানো হয়, শিলিগুড়ি শহরে যানজট সমস্যা মেটাতে ৭০০০ অনিয়ন্ত্রিত টোটো যেগুলো রেজিস্ট্রিকৃত নয় তাদের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রচুর যুবক নিজেদের সংসার চালানোর জন্য এই টোটো রাস্তায় নামায়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিতভাবে টোটো চালানোয় যানজট হয়। রাজ্য সরকার এদের জন্য গাইড লাইন তৈরি করে দিচ্ছে। শিলিগুড়ি শহরে রেজিস্ট্রিকৃত ৪০০০ রিক্সা চলে, সেগুলিকে কিউআর কোড দিয়ে নির্দিষ্ট রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে সঙ্গেই সারা রাজ্যের জন্য টোটো পলিসি তৈরির কথা ভাবছে রাজ্য পরিবহন দফতর। তেনজিং নোরগে বাস স্ট্যান্ডের সামনে থেকে সরবে বেসরকারি বাস স্ট্যান্ড। প্রধাননগরে সরবে বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে বেসরকারি বাস চলাচল করবে। এছাড়া অন্তঃরাজ্য ও আন্তঃরাজ্য বাস চালানোর জন্য নয়া বাস টার্মিনাসের ভাবনা। যানজট রুখতে এই ব্যবস্থা আনছে রাজ্য সরকার।
এদিকে, বাসের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়েও প্রশ্নের উত্তরে পরিবহণমন্ত্রী জানান, ‘করোনার পরে অনেক রুটে বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে যে রুটে বাস বন্ধ হয়েছে। সেই রুটগুলোর নাম আমাদের পাঠান। আমরা খতিয়ে দেখব। তার পরে ব্যবস্থা নেব। তবে যাত্রী ছাড়া তো বাস চালানো যায় না। ফলে সেটাও দেখতে হবে।’