শনিবারের আঁচ পড়ল রবিবার রাতেও, ফের উত্তপ্ত বাংলা

পঞ্চায়েত ভোটের গোটা দিন জুড়েই হিংসা, সন্ত্রাস আর রক্তপাত দেখেছে গোটা বাংলা। ভোটের পরের দিনও সেই ধারা বজায় থাকল। রবিবার রাতেও রক্ত ঝরল। নদিয়ার নাকাশি পাড়ায় শাসক তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন এক সিপিএম কর্মী। সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠলেও ভোটের দিন রক্তের দাগ লাগেনি বীরভূমে। কিন্তু রবিবার ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে রক্তপাত হল অনুব্রত মণ্ডলের জেলায়। বোমাবাজির জেরে জখম হলেন এক কিশোর-সহ চার জন তৃণমূল কর্মী। রবিবার রাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে আক্রান্ত হয় পুলিশ। এদিকে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে নির্দল প্রার্থীর আত্মীয়ের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের অভিযোগ তুলে রবিবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় শনিবার ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে রবিবার সেখানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, সরকারি বাস-সহ বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। একই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারেও। সেখানে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। স্ট্রং রুমে ঢুকে ব্যালট পেপার বদলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে রাতে উত্তাল হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুকও। সেখানে তমলুক নগর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের উপর পোড়ানো হয় বেশ কিছু বাইকও।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 1 =