বরাহনগরে তাপস রায়ের কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার

বুধবার বারুইপুরে মিছিল করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ-মিছিলের কর্মসূচির আয়োজন করে বিজেপি। বরাহনগরে তাপস রায়ের সেই কর্মসূচি ঘিরেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায় বিজেপি-তৃণমূল।

এদিকে আবার বৃহস্পতিবার সকালেই বারুইপুরের ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয় বিধানসভাও। ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে ২ নম্বর গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দেখানো হয় কালো পতাকাও। ছিলেন শংকর ঘোষ-সহ অন্যান্য বিধায়করা।

বুধবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভায় ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিধায়করা। কনভয়ে হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সঙ্গে এও জানানো হয় যে, তৃণমূলের মহিলা বাহিনী তাঁদের বাধা দেয়। অভিযোগ ছিল, সেখানে যাঁরা জমায়েত করেছিলেন, সেখানে লোহার রড, সদ্য কাটা বাঁশ, পাথর-ইট, জলের বোতলে লঙ্কা গুঁড়ো মেশানো ছিল। কনভয় এগোতেই লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। গাড়ির কাচ বন্ধ থাকায় বেঁচে যান বলে জানান শুভেন্দু।

এরপরই বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে শঙ্কর ঘোষ-সহ বিধায়করা বারুইপুরের প্রসঙ্গ তোলেন। যা শুনে স্পিকার সাফ জানিয়ে দেন, ‘এটা বিধানসভার বাইরের ঘটনা।’ শুনেই ক্ষেপে যান তাঁরা। শুরু হয় স্লোগানিং। কক্ষে একদিকে যখন ‘চেয়ার ছাড়ো স্পিকার’ বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা, তখন অন্যদিকে শাসক দলের বিধায়করাও পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন। ৩৭ মিনিটে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি।

এরপর সোজা বিধানসভা গেটের বাইরে চলে যান তাঁরা। সেখানে কালো পতাকা দেখানো হয়। চলে স্লোগানিং। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হতে শুরু করে। ছিঁড়ে ফেলা হয় কাগজ। গেটের বাইরে বসে পড়েন তাঁরা। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলে। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার অবশ্য দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =