এসএসকেএমের জলাশয়ে জমছে আবর্জনা, চিন্তিত মেয়র স্বাস্থ্য পারিষদ অতীন

রাজ্য সরকারের একাধিক জমি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের। কেএমডিএ, পূর্ত দফতর সহ একাধিক রাজ্য সরকারের জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে জমছে আবর্জনা। এই তালিকার মধ্যে পড়ছে রাজ্যের অন্যতম সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এর জলাশয়ও। সেখানেও ফেলা হচ্ছে নোংরা আবর্জনা। আর তাতেই জল জমে তৈরি হচ্ছে মশার আঁতুরঘর।এই ঘটনা এবার এই ঘটনা এবার খোদ ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদের সামনে তুলে ধরলেন একাধিক ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার এবং ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসাররা।

কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বরোর ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে কমিউনিটি হলে ডেঙ্গু নিয়ে চলতি মরশুমের প্রথম বৈঠক শুরু হয়। সেই বৈঠক করেন অতীন ঘোষ। সেখানে উপস্থিত থাকা কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসারদের প্রত্যেকের গলাতেই শোনা যায় ফাঁকা জমি নিয়ে চিন্তার কথা। সেখানে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া সিং এবং ওই ওয়ার্ডের ব্লক সভাপতি বাবলু সিং মশার আঁতুড়ঘর নিয়ে সরব হন। বাবলু অভিযোগ করেন, এসএসকেএম হাসপাতালের  হাসপাতালের ভিতরে যে জলাশয় রয়েছে সেখানে ক্রমাগত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আর রোগীর পরিজনরা অবাধে নোংরা করছে ওই জলাশয়। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও স্বীকার করে নেন বিষয়টি।

এরপর বৈঠকের মধ্যে থেকে তিনি কলকাতা পৌরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেন বিষয়টি দেখার জন্য। এমনকী সরকারি জমিগুলো নিয়ে ফের পরিদর্শনে কিভাবে বেরনো যায়,তা নিয়ে দিনক্ষণ স্থির করতে বলা হয়েছে। তবে জমিগুলো নিয়ে এতবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও যে কোনও লাভ হচ্ছে না সেটা এদিনের বৈঠক থেকে স্পষ্ট।

এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার সূত্রে এ তথ্যও মিলেছে, ২০২৩ সালে কলকাতা এলাকায় প্রায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ এ তা নেমে আসে ১৩০০’র কিছু বেশিতে। ফলে বর্ষা আসার আগেই যাতে সব দিক শক্তপোক্ত করে ময়দানে নামতে পারে কলকাতা পুরসভা তাই চেষ্টা করছে। অতীন ঘোষ বলেন, ‘এই মিটিংয়ের মধ্যে দিয়ে পুরসভার সব কটি বিভাগের মধ্যে দিয়ে এক একটা জায়গার সমস্যা চিহ্নিত করি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 5 =