রাজ্যসভায় তিন পুরনো মুখে ভরসা রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ফের মনোনয়ন দেওয়া হল ডেরেক ও ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায় ও দোলা সেনকে। বাদ পড়লেন দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব ও শান্তা ছেত্রী। পাশাপাশি নিয়ে আসা হল তিন নতুন মুখকে। এই নতুনের তালিকায় রয়েছেন সাকেত গোখলে। যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র। আনা হল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলামকে। মনোনয়ন দেওয়া হল আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে।
আগামী ১৮ আগস্ট মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাংলার ছয় সাংসদের৷ সেই তালিকায় ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, সুস্মিতা দেব। ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। এবার বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক নেই। একজন কংগ্রেসের প্রতীকে জিতলেও, বায়রন বিশ্বাস যোগ দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে এবার কংগ্রেসের হয়ে লড়ার কেউ নেই৷ এই আসনে বিধায়কের হিসাবে জয় হাসিল করবে বিজেপি। অন্যদিকে পদত্যাগ করায় লুইজিনহো ফালেরিও’র আসনে হবে ভোট।
রাজনৈতিক মহলের ধারনা, উত্তরবঙ্গে ভোট সমীকরণের কথা মাথায় রেখে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ওই জেলার তৃণমূল সভপতি প্রকাশ চিক বড়াইককে। এবার সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে রাজ্যসভায় প্রার্থী হলেন বঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি এবং সমাজকর্মী সামিরুল ইসলাম। পাশাপাশি, তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র এবং আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলেকেও রাখা হয়েছে ওই তালিকায়। একটি আসনে উপনির্বাচন হবে। তবে সেই আসনে প্রার্থী কে, তা তৃণমূলের তরফে এখনও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।