জাল ওষুধ আটকাতে এবার অ্যাডভাইজারি জারি করতে চলেছে রাজ্য। রাজ্যজুড়ে ওষুধের দোকানের মালিক, ফার্মাসিস্ট থেকে শুরু করে হোলসেলারদের জন্য এই অ্যাডভাইজার জারি হবে আগামী সপ্তাহে, এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর।
পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে ওষুধ কিনতে বেশ কয়েকটি ব্যাপারে নজর রাখারও। যেমন, প্রতিটি ওষুধে কিউআর কোড স্ক্যান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এও জানানো হযেছে, ওষুধের ব্যাচ নম্বর দেখে অনলাইনে গিয়ে মিলিয়ে নেওয়ার জন্যও। যে ওষুধটি বিক্রেতা কিনছে সেই ওষুধটির সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি খতিযে দেখার কথা বলা হয়েছে, ওষুধটি যে গোডাউন বা যে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট থেকে নেওয়া হচ্ছে তাও। শুধু তাই নয়,
সেখানে আগে কোনও সময় অভিযানের দরুণ লাইসেন্স বাতিল হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেওয়াও। কারণ, গত কয়েক দিন ধরেই জাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল৷ মোটা টাকা ডিসকাউন্টের আড়ালে সাধারণ মানুষকে জাল ওষুধও বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও নবান্নে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই নিয়ে অ্যাডভাইজারি জারি করতে চলেছে রাজ্য।
এরই পাশাপাশি জাল ওষুধের তদন্তে এবার রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের অধীনে কোন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর পরিকল্পনা রাজ্যের। এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, জাল ওষুধের তদন্ত করতে পারেন একমাত্র ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররাই। তাই পুলিশ দিয়ে তদন্ত করানো যায় নাকি তা নিয়ে আইনি মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য।
সম্প্রতি রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা জাল ওষুধের তদন্ত করতে গিয়ে অন্যান্য রাজ্যে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার দিল্লিতে তদন্তে গিয়ে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারদের তদন্তে অভাব হচ্ছে পরিকাঠামোর ও। হুমকিরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারদের। এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করলে তা অনেকটাই কাটানো যাবে। অন্যান্য রাজ্য তারা বিনা বাধায় তদন্ত করতে পারবে। তার জন্যই এবার আইনি মতামত নিচ্ছে রাজ্য বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।