ওড়িশা সরকারের ওটিডিসি পান্থনিবাসের নামে ভুয়ো ওয়েব সাইট ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিনে পুরীর পান্থ নিবাসে রুম ভাড়া করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার এসএসকেএমের প্রাক্তন চিকিৎসক সঞ্জয় ঘোষ। এই ঘটনায় সার্ভে পার্ক থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিৎসক।
সঞ্জয়বাবু জানান, গত বুধবার পুরীর সরকারি পান্থশালার রুম ভাড়া করার জন্য ইন্টারনেটে ওড়িশা সরকারের ওয়েবসাইটের খোঁজ করেন চিকিৎসক। সার্চ ইঞ্জিনে ওটিডিসি পান্থ নিবাস পুরী লিখে সার্চ করতেই একেবারে প্রথমেই যে ওয়েবসাইট ভেসে উঠছে সেটিই ভুয়ো। ওয়েবসাইটে বুক নাও নামে কি ওয়ার্ডে প্রেস করলে একটি নম্বর ভেসে ওঠে। ফোন ধরে এক ব্যক্তি জানান তিনি পান্থনিবাসের ম্যানেজার চন্দ্রকান্ত দাস। এ ক্ষেত্রেও নিখুঁত হোমওয়ার্কের পরিচয় দিচ্ছেন প্রতারকেরা। সত্যিই চন্দ্রকান্ত দাস নামে পুরীর পান্থনিবাসের এক ম্যানেজার রয়েছেন। তাঁর নাম–পরিচয় ভাঙিয়ে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারকেরা।
প্রতারণার পরবর্তী ধাপ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। সোশ্যাল মেসেজিং সাইটে প্রথমেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পান্থশালার কয়েকটি ছবি। এরপর পাঠানো হচ্ছে অ্যাকাউন্ট নম্বর। টাকা পাওয়ার পর যে রশিদ পাঠানো হচ্ছে তা দেখেই প্রতারণা যে হয়েছে টের পান চিকিৎসক। কারণ টাকা দেওয়ার পরও রশিদে লেখা ছিল বুকিং নট অ্যাপ্রুভড! তারপরই সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক। তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় ওটিডিসি–র মার্কেটিং হেড রঞ্জন মিশ্র গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ওড়িশার ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ দায়ের করা হবে। বলছেন, গোটা প্রক্রিয়া কোন পথে এগোচ্ছে তা আমি ডাক্তারবাবুকে জানাব।