ফের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। একধাক্কায় ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালত সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে চলছিল এই মামলার শুনানি। এরপর সোমবার এই মামলায় ৩১৩জন শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশের পাশাপাশি বিচারপতি বসু রাজ্যকে ৭২ ঘণ্টার চূড়ান্ত সময়সীমাও বেঁধে দেন।
জিটিএ-তে অর্থাৎ পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলার তদন্ত করছিল সিআইডি। আগেও বহুবার বিচারপতি বসু আদালতে বলেছেন, কীভাবে ওই নিয়োগ করা হয়েছে, তা জানাতে হবে রাজ্যকে। তবে এ ব্যাপারে রাজ্যের তরফ থেকে কোনও উত্তর পাননি বিচারপতি। এরপর এদিন সিআইডির তরফ থেকে যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয় তা দেখে রাজ্যের কাছে বিচারপতি জানতে চান, আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে কীভাবে এদের নিয়োগ করা হল তা নিয়ে। এদিন রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি বিচারপতি বসু জানতে চান, ‘এই শিক্ষকদের ন্যূনতম প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না তা নিয়ে। একইসঙ্গে এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী তাও জানতে চান বিচারপতি। এরপর সোমবার আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিআইডি। রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বলেন, এখনই এই শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। রাজ্য কেন এদের বেতনের ভার বহন করবে?’ আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন আদালতের নির্দেশের পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানোর কথা বলেছেন বিচারপতি।
এদিন নথি খতিয়ে দেখার পর, বিচারপতি নির্দেশ দেন, ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। তার মধ্যে ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের সব তথ্য জানাতে হবে আদালতে।