সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি যাওয়ার প্রতিবাদে ‘কালীঘাট চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। তবে সোমবার এই অভিযানের শুরুতেই এক্সাইড মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এরপরই শুরু হয় ধরপাকড়। একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, টেনেহিঁচড়ে তাঁদের কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এই কর্মসূচি শুরুর আগেই অবশ্য বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করা হয়। এমনকী তাঁদের লালবাজার নিয়েও যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরে অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়।
পদ্মশিবিরের কর্মসূচিকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই শহরে পুলিশি মোতায়েন চোখে পড়ার মতো ছিল। বিশেষত, এক্সাইড মোড়ে ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। বোঝাই যাচ্ছিল এই এলাকা থেকে মিছিল এগোতে দেবে না পুলিশ। হয়েছেও তাই। বিজেপি কর্মীরা পুলিশি ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। এমন ঘটনার জেরে দফায় দফায় অশান্তি সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তোলে বিজেপি যুব মোর্চা। তাতেই আরও সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর সাধারণ মানুষ সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। তবে অভিযোগ, রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে অনেক আমজনতাকেও পুলিশ আটকে করেছে যারা কোনও কর্মসূচির অংশই নন।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল ইস্যুতে কোনও সময় নষ্ট না করেই যে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে বাংলার শাসক শিবির। কলকাতাতেই শুধু রাস্তায় নামার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তা নয়, জেলায় জেলায় কর্মসূচি শুরু হয়েছে স্যাফ্রন ব্রিগেডের তরফ থেকে। এর সঙ্গে বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচি যে রাজ্যের রাজনৈতিক পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।