ঠাকুরপুকুরের দুর্ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের

মত্ত পরিচালকের হাতে ছিল স্টেয়ারিং। তার জেরে বেপরোয়া গতির বলি হন এক পথচারী। ঠাকুরপুকুরে ভরা বাজারে একের পর এক গাড়িকে মারা হয় ধাক্কাও। পিষে দেওয়া হয়  সেই ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে উঠেছে সর্বমহলে নিন্দার ঝড়। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে পুলিশ হেফাজতে পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস। অভিযুক্ত সিরিয়াল পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই গাড়ি জোরে চালিয়ে পিষে দেওয়া হয়েছে।

মৃতের পরিবারের দাবি, গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ পরে স্পিড বাড়িয়ে ধাক্কা মারা হয়। মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘কোনও মতেই গাড়ির ব্রেক ফেল হয়নি। গাড়িটি বারবার দাঁড়াচ্ছে। তারপর ফুল পিক আপ তুলে নিয়ে বেরোতে যাওয়ার সময় আবার ব্রেক করছে। তাহলে কীভাবে ব্রেক ফেল হয়? সিসিটিভি ক্যামেরায় সবটাই ধরা পড়েছে। এত জনকে কীভাবে ধাক্কা মারে। এটা ইচ্ছাকৃত খুন।’

পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্যও পরিবারকে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। পরিবারের সদস্যের কথায়, ‘আমার কাকা মারা গিয়েছেন। আমার কাকার ছেলেকে ফোন করে হাসপাতাল থেকে ডেকে থানায় নিয়ে যায় ওরা। যাঁরা দুর্ঘটনা করেছেন, তাঁদের পরিবারের লোক ওখানে ছিল। বলা হয়, তোমরা একটু সেটেলমেন্ট করে নাও। ওদের আইনজীবীরাও ছিল।’ এদিক স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘাতক  গাড়ির মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল সাতটা মদের বোতল, গাঁজার কলকে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, এফআইআর কপিতে সেগুলো কোনও কিছুই উল্লেখ ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − 1 =