আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশের অভিযোগে বিনীত গোয়েল বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়ার মামলাকারীর আবেদন গ্রহণ করল আদালত। সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে আবার মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে হলফনামা জমা দেয় রাজ্য। একসময় প্রধান বিচারপতি মামলাটি থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান। তারপর মামলা যায় বিচারপতি মান্থার এজলাসে। ৬ মে মামলা পরের শুনানি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন নির্যাতিতার নাম উল্লেখ, তা নিয়েই বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমৃতা পাণ্ডে নামে এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও পুলিশ কমিশনার তা অগ্রাহ্য করে নাম জানিয়েছেন মিডিয়াকে।
উল্লেখ্য, আরজি কর মামলায় প্রথম থেকেই তদন্ত করছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এই মামলায় পুলিশি তদন্ত নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সে অভিযোগ নির্যাতিতার বাবা-মা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা সকলেই করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চালাকালীন প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই নির্যাতিতার ছবি, নাম, অবয়ব সামনে আনা যাবে না। কিন্তু তারপরও সংবাদমাধ্যমের সামনে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নির্যাতিতার পরিচয় সামনে এনে ফেলেছিলেন পুলিশ কর্তা বিনীত গোয়েল।