রাজ্য জুড়ে ২০১৬ এসএসসি বাতিল প্যানেলে নাম থাকা ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রতিবাদে নেমেছেন। বুধবার জেলায় জেলায় ডিআই অফিসে শিক্ষকদের ডেপুটেশনন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। চাকরিহারাদের লাথি, লাঠির বাড়ি খেতে হয় পুলিশের কাছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল চলছে।
এই আবহে চাকরিহারারা যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখেন সেই পরামর্শ দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয়, চাকরিহারা শিক্ষকদের মুখ্যমন্ত্রী যখন স্কুলে যেতে বলেছেন, তখন তাঁরা ডিআই অফিস দখল করতে গেলেন কেন, এই প্রশ্নও তোলেন তিনি। ফিরহাদের বক্তব্য, ‘শিক্ষকদের কাজ পড়ানো, পড়াবেন। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারীদের কথায় যেন চাকরিহারারা গ্যাস না খান!’ এবার সেই মন্তব্যেরি পাল্টা দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ফিরহাদ হাকিম মানুষের কষ্ট বোঝেন না। মেয়রকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘শিক্ষকদের পাশে না থাকতে পারলে অসম্মান করবেন না।’
চাকরিহারারা বুধবার কসবায় ডিআই অফিসে গেলে সেখানে প্রহৃত হতে হয় পুলিশের হাতে। লাঠির বাড়ি তো বটেই, তাঁদের উপর নির্বিচারে লাথিও মারা হয়। এর পাশাপাশি চাকরিহারাদের বিরুদ্ধেই জোড়া মামলা দায়ের হয়েছে। একটি কসবা ডিআই-র করা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে, অপরটি কসবা থানার পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। যদিও নির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কসবায় তালা ভেঙে স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-এর অফিসে ঢুকে পড়া চাকরিহারাদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সাফাই, বাধ্য হয়েই ‘হালকা বলপ্রয়োগ’ করা হয়। পুলিশ কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মা বলেন, ‘পুলিশ কারও বিরুদ্ধে নয়। পরিস্থিতি বাধ্য না-করলে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে না।’ এমনই এক পরিস্থিতিতে ফিরহাদের বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে সমাজের সর্বস্তরে আলোচনা।