খোদ রাজ্যের ভেতরেই এক জেলায় অত্যাচারিত হয়ে অন্য জেলায় আশ্রয় নিচ্ছেন হিন্দুরা। মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহে আশ্রয় নেওয়া হিন্দুদের অবস্থা প্রসঙ্গে শাসকদলকে বিদ্ধ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ স্পষ্টতই জানান,’এসব কাশ্মীর-সিরিয়ায় দেখেছি। যদিও কাশ্মীরের লোকেরা এখন কাশ্মীরে ফিরছেন। রাজ্যের অবস্থা দেশভাগের থেকেও ভয়াবহ।’ শুধু তৃণমূল-ই নয়, তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএমকেও কড়া আক্রমণ করেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
প্রতিদিনের মতো নিউটাউনে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে বাবা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সিপিএম দাবি করেছে,নিহতরা বাম সমর্থক। তখনই বামেদের নিশানা করে বিজেপি নেতা বলেন,’আরজি কর এরাই ঘেঁটেছে। শিক্ষক নিয়োগের আন্দোলন এরাই ঘেঁটেছে। এই দেশদ্রোহীদের চিনে নিন। এরা কত বড় বজ্জাত। হিন্দু মারা গিয়েছে। সেখানেও সিপিএম ঢোকাচ্ছে। বলছে না হিন্দু মারা গেছে। অভ্যাস পাল্টায়নি।’ এরপরই সিপিএমকে চরম কটাক্ষ করে বলেন, ‘পার্টিই নেই,তাদের আবার সদস্য কী?’ এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের অবস্থা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন,’পশ্চিমবঙ্গের লোক এক জেলা থেকে অন্য জেলায় এমনকি অন্য রাজ্যে পালাচ্ছে। ২০২১ সালের ভোটের পর এই ছবি দেখেছি। দেশ ভাগের থেকেও এই পরিস্থিতি ভয়াবহ। বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতে পালিয়ে আসছে। আর মুর্শিদাবাদ থেকে হিন্দুরা অত্যাচারে পালিয়ে যাচ্ছে। ভারতে এটা কল্পনা করা যায় না। তাহলে কি ভারতে সর্বত্র সংবিধান চলে না?’
এদিকে এ রাজ্যে ওয়াকফ আইন লাগু হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন দিলীপ। তাঁর কথায়,’কিছু বোকা লোককে উনি বোকা বানান বারবার। এর আগে বলেছিলেন নোটবন্দি হতে দেব না, তিন তালাক হতে দেব না, সিএএ হতে দেব না। উনি অনেক কিছুই বলেছিলেন। কী ক্ষমতা রয়েছে তাঁর? ওনার দলেই ওনার কথা কেউ শোনে না।’