এবার রাজধানীার বুকে প্রতিবাদ চাকরিহারাদের

এবার রাজধানীর বুকে প্রতিবাদে সামিল হতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এসএসসি মামলায় চাকরিহারা ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকদের একাংশ। চার দিনের মাথায় রবিবার সল্টলেকে এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অনশন প্রত্যাহার করেন তাঁরা। যদিও অবস্থান জারি রেখে একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। এরপরই সোমবারই বাসে চেপে দিল্লিতে রওনা হন যোগ্য শিক্ষকদের একাংশ। সূত্রের খবর, সোমবার বাসে করে সড়কপথে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন জনা ৫০ থেকে ৬০ চাকরিহারা শিক্ষক। ১৬ এপ্রিল বুধবার দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না দেবেন তারা। শুধু তাই নয়, যাত্রাপথে বিভিন্ন রাজ্যে লিফলেটও বিলি করার পরিকল্পনা তাদের।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে ওয়াই চ্যানেলের অবস্থান থেকে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি সহ একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চের মুখপাত্র শিক্ষক সুজয় ঘোষ স্পষ্টতই জানান,অন্য কারও অন্যায়ের জন্য তারা দায় নেবেন না। অধিকার তারা ছিনিয়েই ছাড়বেন। শুধু তাইনয়, এর পাশাপাশি মাসব্যাপী বিদ্রোহ চালিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। যেখনে রয়েছে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না থেকে শুরু করে কলকাতায় রাজভবন অভিযান কর্মসূচিও।
তারই শুরুয়াৎ সোমবার থেকেই। প্রতিবাদ আরও জোরালো করার ডাক দিয়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা জানান, ‘আইনি সহায়তার জন্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চাইছি আমরা। তাদের এনিয়ে মতামত জানতে চাইছি।’ এরপর ২২ এপ্রিল রাজভবন অভিযানের ডাক চাকরিহারা শিক্ষকদের। সেদিন শিয়ালদহ থেকে সুবিশাল মিছিল করে তা দুপুরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এসে পৌঁছবে। চাকরিহারাদের সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করার জন্য রাজ্যপালের মারফত ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানাবেন শিক্ষকরা। ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে যোগ্য শিক্ষকদের সমর্থনে ও প্রতিবাদ জানাতে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ব্যাজও পরবেন বলে সূত্রের খবর। গোটা রাজ্যজুড়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান ও রাস্তার পাশে সম্মেলন করবেন শিক্ষকরা। সুরাহা না হলে এপ্রিল শেষে ১ মে থেকে রিলে অনশন করবেন শিক্ষকরা। তাতেও যদি সুরাহা না হয়, সেক্ষেত্রে ৮ মে থেকে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এক্ষেত্রে কোনওপ্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ তারা চান না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। প্রসঙ্গত, এসএসসি ভবনের সামনে অনশন প্রত্যাহার করেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। শাসকদলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তাদের। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে ন্যূনতম সহযোগিতাটুকু তাঁরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাঁদের আরও দাবি, বায়ো টয়লেট পর্যন্ত রাখতে দিচ্ছে না পুলিশ। এমনকী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সবসময় সেখানে নজরদারি চালাচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =