শিক্ষকের আত্মহত্যা, চাকরি খোয়ানোর জের কি না উঠছে প্রশ্ন

পয়লা বৈশাখের সকালে কেমন যেন সব গোলমাল হয়ে গেল কুলতলি থানা এলাকার মেরিগঞ্জ দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেরিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক প্রণব পতিত নাঁইয়ার পরিবারের ছবিটা। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।প্রণব পতিত নাঁইয়া পড়াতেন জয়নগরের টিএস সাতন হাইস্কুলে। প্রণবের পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন,  সবকিছু ঠিকঠাক ছিল একদিন আগেও।  সবটাই বদলে গেল নববর্ষের প্রথম দিনেই।
সূত্রের খবর, ২০১২ সালে চাকরি পেয়েছিলেন প্রণব। এখনও বিয়ে করেননি। নতুন বাড়িও হচ্ছিল। তারমধ্যেই আচমকা এ ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। শোকের ছায়া এলাকায়। প্রিয় শিক্ষককে হারিয়ে শোকে কাতর পড়ুয়ারাও। সূত্রের খবর, প্রণবের ঘর থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে যদিও লেখা রয়েছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তাহলে কী কারণে আত্মহত্যা তা নিয়েতৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল প্রণব। ফোনও ঘাঁটতো সারাক্ষণ। প্রণবের বাবা সুভাষচন্দ্র নাঁইয়া জানান, ‘আমার তো একটাই ছেলে। সারাক্ষণ তো ফোন ঘাঁটত। চাকরির বিষয়ে সব শুনছিল, দেখছিল। ওইসব নিয়েই চিন্তা করছিল। আমি বলি চাকরিটা যাক তারপর তো ভাববি, এখন কেন এসব ভাবছিস! ওর কোনও দেনাও ছিল না। তাও এই কাণ্ড করে ফেলেছে।’
এদিকে এই ঘটনার খবর  পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =