সিবিআই দফতরে যেতে চাওয়ায় পুলিশি বাধার অভিযোগ চাকরিহারাদের

কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি নয়, অবস্থান-ধর্নারও ভাবনা ছিল না। চাকরিহারাদের একাংশ শুধুমাত্র ওএমআর সিটের মিরর ইমেজ চাইতে সিবিআই দফতরে গেছিলেন। অনুরোধ করা হয়েছিল, তাঁদের দাবি মেনে সেই মিরর ইমেজের তথ্য দেওয়া হোক। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে দিয়েছে। ভিতরে যেতেই দেওয়া হয়নি।
চাকরিহারারা জানান, তাঁদের প্রতিনিধি দল ওএমআর সিটের মিরর ইমেজ চাইতে সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করলে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়।  এরপর তাঁদের সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই বের করে দেওয়া হয়। চাকরিহারাদের বক্তব্য, ২৩ লক্ষ ওএমআর সিট সিবিআই-এর কাছে আছে। সে ব্যাপারে জানতে আর কথা বলতেই তাঁরা এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই সুযোগই দেয়নি। এখানেই শেষ নয়, চাকরিহারারা এও জানাচ্ছেন, আজকের এই অভিযান নিয়ে সিবিআইকে মেল করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। এদিকে এই মুহূর্তে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে প্রচুর বিধাননগর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বোঝাই যায়, তাঁরা কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেবেন না।
বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট মধ্যশিক্ষা পর্ষদের করা মামলায় বড় স্বস্তি দিয়েছে চাকরিহারাদের একাংশকে। আদালত জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন রাজ্যের ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা। ২৬ হাজার শিক্ষকদের মধ্যে যাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে শনাক্ত করা গেছে, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকিরা আপাতত চাকরিতে বহাল থাকবেন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ৩১ মে-র মধ্যে যোগ্যদের বাছাই করার নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ততদিন চাকরি করবেন সব শিক্ষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =