এসএসসি ভবনের বাইরে বিক্ষোভে চাকরিহারা শিক্ষকেরা। একটাই পণ, হকের চাকরি না নিয়ে বাড়ি ফিরবেন না। সোমবার দুপুর থেকে যে অবস্থান শুরু হয়েছে, মঙ্গলবার সকালেও তা একই অবস্থায় আছে। আচার্য সদনের বাইরে দফায় দফায় উঠছে স্লোগান। সোমবার তাঁরা বারবার আবেদন করেছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান যেন একবার বাইরে আসেন। তবে রাত পেরলেও বাইরে আসেননি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সাত সকালে তাঁর জন্য চা আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারারা।
অভিযোগ, রাতে তাঁদের একটু জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকী টয়লেট পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সকালে চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা জানান,’আমরা রাত জেগে রাস্তায় বসে আছি, আর চেয়ারম্যান ভিতরে আরামে ঘুমোচ্ছেন। আমাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না কেউ।’
এই পরিস্থিতির মধ্যে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ হঠাৎ দেখা যায়, এক ব্যক্তি চায়ের ফ্লাস্ক ও মাটির ভাঁড় নিয়ে এসএসসি ভবনের দিকে যাচ্ছেন। বুঝতে অসুবিধা হয়নি, চেয়ারম্যান ও আটকে থাকা অন্যান্য আধিকারিকদের জন্য ওই চায়ের ব্যবস্থা। আর তা দেখেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন চাকরিহারারা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান গেটের দিকে। ওই ব্যক্তিকে আটকাতে না পারলেও হাত থেকে টেনে মাটিতে ফেলে ভেঙে দেন চায়ের ভাঁড়।
এর পাশাপাশি বাইরে আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন, ‘কোনও লজ্জা নেই। কীভাবে চা খায়! আমাদের তো একটু জল পর্যন্ত জুটছে না।’ সোমবার রাতেও দেখা গিয়েছে এমন ছবি। এ দিন রাতে এসএসসি ভবনে খাবার অর্ডার আসছিল। ঢুকছিল পিৎজা সহ বিভিন্ন খাবারের থালি। তবে ভিতরে পৌঁছয়নি সেই খাবার। তার আগেই সেই খাবার মাটিতে ফেলে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ক্ষুব্ধরা প্রশ্ন তোলেন,তাঁদের পেটে ভাত নেই। তাঁরা খেতে পাচ্ছেন না। অথচ সেই খাবার SSC ভবনের কর্মীরা খাবেন? এরপরই নষ্ট করে দেন তাঁরা। পা দিয়ে মাড়িয়ে খাবার নষ্ট করা হয়। এই ছবি দেখে কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি মানুষের রাগ-ক্ষোভ কোন পর্যায়ে পৌঁছলে তবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।