কলকাতা পুরনিগমের সমবায় সমিতির নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ মে কলকাতা পুরনিগমের সমবায় সমিতি নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। নির্বাচন করার নামে প্রহসন চলছে, এই অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করে বামেরা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করতেই দেওয়া হচ্ছে না। সরব হয় বামেদের শ্রমিক সংগঠন। জল গড়ায় আদালতে। শেষ পর্যন্ত আপাতত নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল রাজ্যের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কলকাতা পুরনিগমের কর্মী সমবায় সমিতির নির্বাচন হচ্ছে ছুটির দিন রবিবার। কিন্তু, মনোনয়নপত্র তোলা শুরু হতেই উঠতে থাকে একাধিক অভিযোগ। ছুটির দিন ভোট নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে,তেমনই ভোটকেন্দ্র নিয়েও তৈরি হয়েছে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন। কারণ, তা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার একটি কমিউনিটি হলে। এখানেই আপত্তি বামেদের। তাঁদের দাবি, কর্পোরেশনের মধ্যেই করতে হবে ভোট। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন এখনও বিরোধী সংগঠনগুলিকে ভোটার তালিকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন সিটুর নেতারা। সব মিলিয়ে একের পর এক সমস্যা তৈরি হতে থাকে।
কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী জানান, ‘আদালতের এই রায় প্রগতিশীল,গণতান্ত্রিক মানুষের জয়। আমরা আগামীদিনে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আবারও লড়াই করব। নির্বাচন যাতে কর্পোরেশনের ভিতরেই হয় তা নিয়ে আমাদের এই লড়াই জারি থাকছে।’