প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে দেখা গেল অরুণ হাজরা ওরফে ‘চিনু দা’-কে। এই মামলার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে অরুণ হাজরার। তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এজেন্ট ছিলেন এই অরুণ। তিনি সুজয়কৃষ্ণের হাতে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা তুলে দেন বলে সূত্রে খবর।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন অরুণের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের সুগার বেশি, রয়েছে উচ্চরক্তচাপও। শুধু তাই নয়, আত্মহত্যার প্রবণতা আছে বলেও দাবি করেছেন আইনজীবী। এরপরই বিচারক এদিন জানতে চান, তদন্তকারী অফিসার কোথায় সে ব্যাপারেও। সঙ্গে এও জানতে চান চার্জশিটে কী কী অভিযোগ রয়েছে এই অরুণ হাজররার বিরুদ্ধে। উত্তরে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, ‘এই অভিযুক্ত একজন মধ্যস্থতাকারী।’ শুধুই তাই নাকি, আর কোনও অভিযোগ আছে, সেটাও জানতে চান বিচারক। এরপর চার্জশিট পড়ে বিচারক জানান, শুধু মধ্যস্থতাকারী নয়, আরও অনেক কিছুই অভিযোগ আছে। ৭৮ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি আদালতে হাজির হলেও তদন্তকারী অফিসার আদালতে নেই কেন সেই প্রশ্নও করতে শোনা যায় বিচারককে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অরুণ হাজরার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আদালতে। সেদিন মক্কেল অসুস্থ বলে আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী। সেই যুক্তিতে আদালতে হাজিরাও দেননি তিনি। অভিযোগ, শুধু প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি ছাড়াও এসএসসি,রেল সহ আরও বিভিন্ন বিভাগে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলতেন এই অরুণ। একসময় তিনি কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। তারপর তৃণমূলে যোগ দেন। কয়েকদিন পর তিনি তাপস রায়ের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন।