সেনার উর্দি পরেই চলছিল প্রতারণা। নিজেকে সেনার লেফটেনন্ট বলে পরিচয় দিয়ে যুবকদের চাকরিতে নিয়োগের একটি প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল সে। ঘটনাটি নজরে আসে তদন্তকারীদের। অবশেষে সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হল সেই ভুয়ো সেনা অফিসার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম দলচাঁদ ভার্মা। সে সিকিমের গ্যাংটকের বাসিন্দা।
সূত্রে এ খবরও মিলেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যক্তির খোঁজ করছিল সেনা। সোমবার রাতে তাকে শিলিগুড়ির শালুগারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। ভারতীয় সেনার খবরের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে গ্রেপ্তারের সময়েও সেনার উর্দিতেই ছিল ওই ব্যক্তি।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত ব্যক্তি ভারতীয় সেনায় চাকরি দেওয়ার নামে একটি প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল। অনেক যুবক সেনায় চাকরি পাওয়ার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এরপর চলত টাকার খেলা। মোটা টাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিত ওই ব্যক্তি। ধৃতের কাছ থেকে মোবাইল, চাকরিতে আবেদনের কিছু কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। এদিকে সেনায় চাকরি দেওয়ার নাম করে চলা প্রতারণা চক্র নতুন নয়। বহুদিন ধরেই শিলিগুড়িতে এই প্রতারণা চক্র চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর আগেও সেনা ও পুলিশের অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন শিলিগুড়ি সহ ভিনরাজ্যের বাসিন্দারাও। এদিকে বহু তরুণ সেনায় চাকরি করতে আগ্রহী। তাঁদেরকেই শিকার বানাতো এই প্রতারকরা। নানা ভাবে তাঁদের ফাঁদে ফেলা হয়। প্রতারকরা নিজেদের সেনার উচ্চপদস্থ কর্তা বলে দাবি করত। এরপরেই দেওয়া হত চাকরির টোপ। একইসঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হত। সেই টাকা পেয়ে গেলেই গা ঢাকা দিত প্রতারকরা। এর আগে অনেকেই এভাবে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এরপর সেনা গোয়েন্দা বিভাগের খবরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।