পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে গ্রেফতার করা বা তাঁকে সরিয়ে নতুন কাউকে সরানোর কোনও সরকারি খবর এখনও নেই। বরং ঘটনা হল,পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক রায়ের ফলে পাক সেনা প্রধানের ক্ষমতা এখন আগের চেয়েও অনেকটাই বেড়েছে। গত ৭ মে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানায়, সেনা আদালতেও পাক নাগরিকদের বিচার চলতে পারবে। সেনা আদালতে সাধারণ নাগরিকের বিচারকে এক সময়ে পাক সুপ্রিম কোর্টই অসাংবিধানিক বলেছিল। এই রায় এবার উল্টে দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের ফল মারাত্মক হতে পারে। গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে কিছু সামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মী-সমর্থকরা। এবার সেনা আদালতে তাদের বিচার শুরু হতে পারে।
তবে এটা ঠিক, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির যে সে দেশে খুব জনপ্রিয় তা নয়। বরং কূটনৈতিক বিশ্লেষকদেকদের অনেকের মতে, মুনিরের জনপ্রিয়তা কমছিল। সেই কারণেই তিনি হিন্দু-বিরোধী কথা ও ‘দুই জাতি তত্ত্ব’কে আবার উস্কে দিতে শুরু করেছিলেন। তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জগুলার ভেইন’ বলে উল্লেখও করেন এবং ভারতীয় সেনা অভিযানের সম্ভাবনা থাকলে ‘দ্রুত, সুসংগঠিত ও অধিকতর তীব্র জবাব’ দেওয়ার হুমকিও দেন।
এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের রায় জেনারেল মুনিরকে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ দমনে একটি বড় হাতিয়ার তুলে দিল বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা। বালোচিস্তান ও খাইবার-পাখতুনখাওয়াতে সেনার নিয়ন্ত্রণ ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। ফলে মিলিটারি কোর্টের ছাড়পত্র তাঁকে সেই দমননীতিকে আরও জোরদার করতে সাহায্য করবে বলে মত কূটনীতিকদের।