প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মামলায় প্রশ্নের মুখে তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা 

নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম থাকা প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মামলায় তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে এবার উঠে গেল বড় প্রশ্ন। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন,তদন্তকারী অফিসারের তথ্য সরবরাহ করতে সমস্যা কোথায় তা নিয়ে। একইসঙ্গে তদন্তকারী আধিকারিকের উদ্দেশ্যে এও প্রশ্ন করেন, তিনি একজন তদন্তকারী আধিকারিক হয়ে  কীভাবে বলতে পারেন তিনি তদন্ত করবেন,সিবিআইকে দেবেন না।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপস সাহা সংক্রান্ত মামলার রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিক  অ্যান্টিকোরাপশন ব্রাঞ্চের অফিসার অনুপম দাস। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই-কে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তাপসের বিরুদ্ধে। এই মামলায় আগেও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।  তবে পাঁচ দিন আগে হঠাৎই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
উল্লেখ্য,এর আগে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, তাপস সাহাকে এখনই গ্রেফতারির প্রয়োজন নেই। তদন্তকারী আধিকারিকের উদ্দেশে বলা হয়েছিল,তাঁর বিরুদ্ধে  আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার সুযোগ রয়েছে! রাজ্য এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। এরপর মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ওঠে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী জানান, তাপস সাহা মামালায় রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকের তরফে সিবিআই-এর হাতে সমস্ত তথ্য এসে পৌঁছয়নি। এরপরই সিবিআই আদালতে জানায়,বিধায়ক তাপস সাহার মৃত্যুর পরেও তদন্ত চালিয়ে যেতে চায় তারা। এরপরই এই মামলায় কেস ডায়েরি-সহ যাবতীয় তথ্য সিবিআইকে দেওয়ার জন্য তদন্তকারী আধিকারিককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারের উদ্দেশে বলেন,’আপনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধে। তাই দ্রুত যাবতীয় তথ্য দিতেই হবে।’ সঙ্গে এ প্রশ্নও করেন, তথ্য সরবরাহ করতে সমস্যা কোথায় তা নিয়ে। এদিকে এদিন সিবিআই-এর তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়,তাপস সাহা ছাড়াও অনেকে জড়িত। এটা বৃহৎ ষড়যন্ত্র। কেস ডায়েরি-সহ বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন রয়েছে। উত্তরে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান,’ তিন চারদিন সময় লাগবে। আমরা তথ্য দিয়ে দেব।’
এদিকে এদিন আদালতে সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে জানায়,  কয়েক কোটি টাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। চার পাঁচ জন জড়িত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + twelve =