এক মাসের মধ্যে গড়িয়াহাটের ডাকাতির ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে,গড়িয়াহাটের একটি বুটিক থেকে ২০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ১৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ধৃত রাহুল শীলকে এদিন আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানোর পর ২৭ মে পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে গড়িয়াহাটের একটি বুটিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে তদন্তকারী আধিকারিকদের নজরে আসে, ডাকাতির আগে দোকানের সিসিটিভি বন্ধ করা হয়েছিল। পুলিশ নিশ্চিত হয়, ডাকাতির সঙ্গে এমন কোনও ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন যিনি দোকানের খুঁটিনাটি জানেন। সন্দেহে সিলমোহর পড়ে ঘটনার পর থেকেই ওই দোকানের সঙ্গে যুক্ত রাহুল শীলের বেপাত্তা হওয়ার ঘটনায়। সঙ্গে তদন্তকারীদের এও নজরে আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফের ওই বাসিন্দার মোবাইল ফোনটিও তখন থেকেই বন্ধ। এরপর থেকে সন্দেহভাজনের তালিকায় ওঠে রাহুলের নাম।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়, রাহুলের খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায় তার প্রেমিকা কাজলের কথা। নরেন্দ্রপুরের কুসুম মণ্ডল পাড়ায় মামা ঝন্টু সরকারের বাড়িতে থাকে কাজল। গত কয়েকদিন ধরে পুলিশের নজরে ছিল বাড়িটি। পুলিশের দাবি, গত ১৭ মে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলতেই বাড়ির পিছনের দিক থেকে একটি ব্যাগ পেছনের ঝোপের মধ্যে কেউ ফেল দেয়। সেই ব্যাগ থেকে মেলে ডাকাতির ১৭ লক্ষ টাকা।
পুলিশের দাবি, পরের দিন সকালে প্রেমিকার বাড়ি থেকে টাকা নিতে এসেছিল রাহুল। তখনই তাকে হাতে নাতে পাকড়াও করা হয়েছে। রাহুলের প্রেমিকাকে এখনও গ্রেফতার না করা হলেও মামলায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁর নামও রেখেছে তালকায় রেখেছে পুলিশ।