‘ফুটপাথ’ তৈরি করা হয় পথচারীদের ব্য়বহারের জন্য। তবে তা এখ আর কোনও কাজেই লাগে না পথচারীদের। বর্তমানে এই ফুটপাথ চলে গেছে হকারদের কবলে। এই ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে কলকাতা পুরসভা। আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এই ফুটপাথ ‘দখল’ প্রসঙ্গে পুরসভাকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করে রাজ্যের উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে পরিস্থিতির বদল ঘটাতে কী ভাবনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার এবার তা জানতে চান বিচারপতি।
এদিকে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, শহরের ফুটপাতের অবস্থা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টই জানায়, ‘হাঁটা যায় না, শুধুই দোকান!’ এরপরই বিচারপতি সেন জানতে চান, ফুটপাত দখল নিয়ে কী করছে পুরসভা। সঙ্গে এও জানান,’আমরা দেখতে চাই প্রধান বিচারপতির নির্দেশ কার্যকর হল কিনা।’ এর পাশাপাশি আদালত সূত্রে এও জানা গেছে, কলকাতা পুরসভার উদ্দেশে বিচারপতি সেন এদিন বলেন,’ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না। এদিকে মানুষ কর দেন।’ একইসঙ্গে পুরসভার অনুমতি ছাড়া ফুটপাত দখল করে কীভাবে দোকান রয়েছে তার উত্তরও জানতে চান তিনি। এই প্রেক্ষিতে অবশ্য পুরসভার আইনজীবীর বক্তব্য, ‘ফুটপাত দখল মুক্ত করতে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা দরকার।’ এর পাশাপাশি আইনজীবী এও জানান, পুরসভার কমিশনর ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারকে সদর দফতরের সামনের ফুটপাত দখল মুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এটা রাজ্যের দায়িত্ব কারণ আইন তাদের হাতে। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, নগরন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ সচিব, কলকাতা পুরসভার কমিশনর এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (হোম) বৈঠক করে ফুটপাতে বেআইনি দখল সরানোর সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে গত বছরই হকারদের ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল গড়িয়াহাট, চাঁদনি, গার্ডেনরিচ, শিয়ালদহর মতো এলাকার ফুটপাত। কিন্তু ধীরে ধীরে আবার সেই একই অবস্থা ফিরে এসেছে। পিচ রাস্তার ওপর হকারি করা যাবে না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশকে। তবে এখনও যে হাল ফেরেনি তা আদালতের পর্যবেক্ষণেই স্পষ্ট। তাই এই ইস্যুতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।