জল্পনার অবসান। কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখকেই সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। শুক্রবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খাড়গে নদীয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, রাজ্য বামফ্রন্ট শরিকেরা নিজেদের জেদ থেকে অনেকটাই সরে এসে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ,এটা থেকে স্পষ্ট বামদের সেই কংগ্রেস নির্ভরতা থেকে সরে দাড়াতে পারছে না। এদিকে কংগ্রেস শিবির সূত্রে খবর, আগামী ২ জুন প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেবেন কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেখ। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাম নেতা-কর্মীরাও অংশ নেবেন এই শোভাযাত্রায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখকে বামেদের সমর্থন করার অন্যতম কারণ নিজেদের মতবিরোধ দূর করা। সূত্রের দাবি,বুধবারের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ফের রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠক বসে। কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের তরফে সিপিএম এবং আরএসপি উভয় রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিতে উদ্যোগী হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেসকেই সমর্থন করা উপযুক্ত বলে বামফ্রন্টের নেতৃত্ব মনে করে চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে বাম শরিক দলের এক রাজ্য নেতৃত্ব জানান, ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে এই মুহূর্তে কালীগঞ্জে কংগ্রেসকে সমর্থন করা ছাড়া আমাদের আর উপায় নেই। কারণ, বামেদের মধ্যে দুই রাজনৈতিক দল যদি আলাদাভাবে প্রার্থী দেয় এবং কংগ্রেস প্রার্থী যদি আলাদা থাকে তাহলে ভোট পার্সেন্টেজ ভাগ হয়ে তলানিতে ঠেকবে। শক্তি বৃদ্ধি পাবে শাসকদলের। সেই সুযোগ না দিয়ে বামসরিকেরা সর্বসম্মতিতে কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও কংগ্রেসকে যাতে সমর্থন করা হয় বা কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চায় এ বিষয়ে আগেই বিমান বসুকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রদেশ নেতৃত্ব। ফলে তাদের সম্মান জানিয়ে ২০২৬-এর নির্বাচনের সমঝোতার পথ খোলা রেখে কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’