নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে অপহৃত হন এক ব্যক্তি। এরপর তাঁর স্ত্রীয়ের কাছে পাঁচ লাখ মুক্তিপণ দাবি করে ফোনও করেন অপহরণকারীরা। এই সমগ্র ঘটনার শুরু গত বুধবার থেকে। এর মাঝে পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাজা এসসি মল্লিক রোডের ধারে যাদবপুরের এক আবাসনের ১২ তলা থেকে ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সজল বোস, সুদীপ মজুমদার, সুমন বোস, সমীর কুমার দেব ও সন্দীপন দাস।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বাসিন্দা তিমিরকান্তি মজুমদারকে চলতি মাসের ২৮ তারিখ একদল দুষ্কৃতী অপহরণ করে বলে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ জানান তাঁর স্ত্রী তাপসী মজুমদার। একইসঙ্গে এও জানান, ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোনও আসে। এই ফোন পাওয়ার পরেই খুব স্বাভাবিক ভীত হয়ে পড়েন অপহৃতের স্ত্রী। এরপর অপরহণকারীদের ১০ হাজার টাকাও পাঠান। এরপর উপায় না পেয়ে কলকাতা পুলিশের শরণাপন্ন হন। অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপহরণের কিনারা করে পুলিশ।
এদিকে ভবানীপুর থানা সূত্রে খবর, শুক্রবার অর্থাৎ ৩০ মে তাপসী মজুমদার নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী তিমিরকান্তি মজুমদারকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার অর্থাৎ ২৮ মে নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর তিমিরের ফোন থেকে তাঁর স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। ইউপিআই মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য বলা হয়। এই ফোন পেয়ে তাপসীদেবী ভয় পেয়ে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েও দেন। তখনই পুলিশ ওই ইউপিআই-র সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরটি খতিয়ে দেখে। সেখান থেকেই মোবাইল নম্বরের মালিকের খোঁজ মেলা মাত্রই দ্রুত ভবানীপুর থানার পুলিশের একটি দল যাদবপুর এলাকায় যায়। সুকান্ত সেতুর সামনে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তার সঙ্গীদেরও খোঁজ পায় পুলিশ। যাদবপুরের একটি আবাসনে হানা দেয় তারা। সেখানেই অপহৃত ও অপহরণকারীদের পাওয়া যায়। ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ভাল রয়েছেন। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, অপহৃত ব্যক্তি পেশায় লোন এজেন্ট। অপহরণকারীরা কেন তাঁকে অপহরণ করেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।