‘পাক চর খুঁজতে’ কলকাতার এনআইএ অভিযান! সূত্রের দাবি, কলকাতার পার্ক সার্কাস, আলিপুর, বেনিয়াপুকুর এবং খিদিরপুরে চলছে তল্লাশি। আর এবার পাকচর সন্দেহে কলকাতার তপসিয়া থেকে আটক এক। তিনি পেশায় হোটেলের নিরাপত্তারক্ষী। নিউটাউনে এনআইএ-র অফিসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রে খবর। শুধু কলকাতাই নয়,দেশের প্রায় পনেরো জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় এনআইএ-এর তরফ থেকে। এদিকে এনআইএ সূত্রে খবর, সম্প্রতি, পাক-গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনআইএ-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যেই দেশের পনেরো জায়াগায় শনিবার হানা দেয় এনআইএ। আর এনআইএ-এর এই তালিকায় রয়েছে এই রাজ্যের নামও। বাংলার পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকে দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং অসমেও হানা দেয় এনআইএ। পাক চর আর স্লিপার সেলের খোঁজ চালাতেই এই অভিযান বলে জানান তদন্তকারীরা।
এনআইএ সূত্রে খবর, ডায়মন্ড-হারবার রোডের একটি ট্যুর এবং ট্রাভেলসের দোকানে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এই ঘটনায় ওই দোকানের মালিক জানান,’সকালে দোকান খুলতেই দেখি এনআইএ-এর কুড়ি থেকে পঁচিশ জনের একটি দল আসে। আমায় আইডি কার্ড দেখিয়ে বলে আমরা তল্লাশি করব। এরপর আমার মোবাইল নিয়ে নেয়। আমার দোকানে মোবাইল ঘেঁটে দেখেন। তারপর বলেন, পাঁচ হাজার টাকার নাকি ট্রানজাকশন হয়েছে। আমরা টাকাও ট্রান্সফার করি। থার্ড পার্টি অ্যাপস দিয়ে করি। শুনছি এই টাকা নাকি পাকিস্তান গেছে। গ্রাহক আমাদের টাকা ট্রানজাকশন করতে বলে। আমরা করে দিই। এরপর সোমবার আমায় এনআইএ দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কিছুদিন আগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে হিসার থেকে গ্রেফতার করা হয়ে। তারপর আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে তাঁদের ধরা হয়। এই আবহের মধ্যে সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটকে পাকড়াও করে এনআইএ। পাশাপাশি এনআইএ-এর তরফ থেকে জানানো হয়, ২০২৩ সাল থেকে ওই জওয়ান পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত।