শুক্রবারই নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসি-র তরফ থেকে। এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর তৎপরতাও শুরু হয়েছে এসএসসিতে। কারণ, এবার তারা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি করতে চান অত্য়ন্ত স্বচ্ছভাবে। আর এই স্বচ্ছতা আনতে এবার ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে এসএসসি। এসএসসি সূত্রে খবর, আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের তিনটি পর্যায়ে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনলাইনে যখন আবেদন আসবে, সেই সময় প্রথম পর্যায়ে ভেরিফিকেশন, ইন্টারভিউ হওয়ার সময় দ্বিতীয় ভেরিফিকেশন এবং কাউন্সিলিংয়ের সময় তৃতীয় পর্যায়ে ভেরিফিকেশন হবে। কোনও ভুয়ো ডকুমেন্টস দিয়ে কোনও চাকরিপ্রার্থী আবেদন করছেন কি না বা এসএসসি আধিকারিকদের কোনও ডকুমেন্টসের কোনও তথ্য নজর এড়িয়ে গেল কি না,তা যাচাই করার জন্যই এসএসসি ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে বলে সূত্রের খবর।
পাশাপাশি এসএসসির তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, কোন চাকরি প্রার্থী কোন স্কুলে চাকরি পাচ্ছেন তা চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশ পত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। অর্থাৎ, কোনও চাকরি প্রার্থী তাঁর মেরিট বা তাঁর র্যাঙ্ক অনুসারে কোন স্কুলের কোন জেলায় চাকরি পেলেন নিয়োগপত্র পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই এসএসসি তা ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন।
এদিকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিনক্ষণ জানিয়েও দেওয়া হয়েছে এসএসসির তরফ থেকে। নির্ঘণ্টে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে প্রক্রিয়া, যা শেষ হবে নভেম্বরে কাউন্সেলিংয়ের মধ্য দিয়ে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই নয়া নিয়োগ বিধিও প্রকাশ করেছে রাজ্য। সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন খাতে রাখা হয়েছে কত নম্বর৷ পূর্ববর্তী নিয়মের থেকে অনেকে ক্ষেত্রেই বদল আনা হয়েছে সেখানে। বদলেছে নম্বর বিভাজন রীতি। নবম -দশম ও একাদশ- দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের বিধি অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, ইন্টারভিউ, ক্লাস করানোর ক্ষমতা উপর তৈরি হবে প্যানেল। একইসঙ্গে এও নিয়োগ বিধিতে এও জানানো হয়েছে, মোট ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ওএমআর শিট-এ।
১০ নম্বর থাকবে শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য। এক্ষেত্রে, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেলেই ১০ নম্বর পাবেন। ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেলে ৮ নম্বর ও ৫০ শতাংশের কম পেলে ৬ নম্বর দেওয়া হবে।
এছাড়াও, নয়া নিয়োগ বিধিতে কর্মরত শিক্ষকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য রাখা হয়েছে ১০ নম্বর৷ সরকারি বা সরকারি নিয়ন্ত্রিত স্কুলে প্রতিবছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য পাওয়া যাবে দুই নম্বর করে। এক্ষেত্রে কারও পাঁচ বছর বা তার বেশি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে মিলবে পুরো ১০ নম্বর।