ডিজিট্যাল অ্য়ারেস্ট সংক্রান্ত একটি মামলায় ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রে খবর, পিএমএলএ আদালতে এই চার্জশিট জমা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকেরা। ‘ডিজিট্যাল অ্যারেস্ট’ নামে এই নয়া পন্থা সাইবার আধিকারিকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। নতুন এই পন্থায় এরই মধ্যে বহু মানুষের আমানত আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্তরা।
ইডি সূত্রে খবর, ডিজিটাল গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এই চক্রের মাথারা। আদালত সত্রেও খবর, চার্জশিটে তেমনটাই উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। একইসঙ্গে মাস্টারমাইন্ড হিসাবে চার্জশিটে চিরাগ কাপুর ও যোগেশ দুয়ারের নাম উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি ইডির তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, রীতিমতো কোম্পানি তৈরি করে এই প্রতারণা চক্র চালানো হত। এর পাশাপাশি চার্জশিটে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, দুই অভিযুক্তের ৩০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫০০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ মিলেছে। দুবাই থেকে চলতো এই ডিজিটাল অ্য়ারেস্টের প্রতারণা। এই প্রসঙ্গে ইডি এও উল্লেখ করেছে, ৩৫০ সিমে ইন্টারন্যাশনাল রোমিং চালু করে প্রতারণা চলত। এই চক্রের মাথাদের ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।
এর পাশাপাশি ইডি সূত্রে খবর,প্রতারকেরা নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করতে তুলতে পুলিশ আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দেন। তারপর সেই ব্যক্তিকে ভিডিয়ো কলও করতেন। সেখানে পুলিশের উর্দি পরেই বসেন প্রতারকরা। এবার তাঁদের নানা পন্থায় ভয় দেখানো হয়। কখনও বলা হয়, তাঁর কোনও একটি পার্সেলে অবৈধ জিনিস পাওয়া গিয়েছে, কখন বলা হয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এবং বিষয়টির জন্য গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। গোটাটাই হয় ভিডিয়ো কলে। দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে কথাবার্তা। এরপর যখন সেই ব্যক্তি কিংবা মহিলা ভেঙে পড়েন, তখন বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য টাকা চাওয়া হয়। ভিডিয়ো কলেই ওটিপি, কার্ড নম্বর চেয়ে নেওয়া হয়। এই ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ তাঁদের পুঁজি হারিয়েছেন। ইডি তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, এখনও পর্যন্ত ১৫০০ কোটি টাকা এই ভাবে আত্মসাৎ করেছে প্রতারকরা।