আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে দক্ষিণবঙ্গে খুব দ্রুতই প্রবেশ করছে বর্ষা। তবে তার আগে এক দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গবাসী। বর্ষার দেখা তো দূর-অস্ত, বরং হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল তারা। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমের শুষ্ক আবহাওয়া বর্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তবে নির্ধারিত সময় ১০ জুনের পরেই বর্ষা আসার সম্ভাবনা। ২৯ মে থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত এসে থমকে আছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এরে জেরে সপ্তাহভর আবহাওয়া শুকনো থাকবে। সঙ্গেএও জানানো হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহে পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস চড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের পারদ। তবে এরপরের চার দিনে তাপমাত্রার আর বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি অর্থাৎ উপরের দিকের এই পাঁচ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাব আপাতত কেটে গিয়েছে। বর্ষাও দক্ষিণবঙ্গের দুয়ারে এসে পৌঁছায়নি। ফলে নতুন করে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি নেই। ফলে এই অসহ্য এবং অস্বস্তিকর গরম থেকে বাঁচতে বর্ষার দিকে চাতকের মতো তাকিয়ে রাজ্যবাসী। এদিকে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ৩ জুন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাতেই আশার আলো দেখছে দক্ষিণবঙ্গবাসী।
এদিকে দশদিন আগেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। সেখানে ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে ঢুকবে তা নিয়ে এখনও সঠিক ভাবে কিছু জানায়নি আলিপুর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে,সোমবার কলকাতার আকাশ ছিল মেঘলা। তবে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্যাচপ্যাচে ঘাম হয়েছে দিনভর। সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি বেশি। এর আগে রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা প্রায় স্বাভাবিক। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকায় দুর্বিসহ হয়ে উঠছে গরম।