গত আড়াই মাস ধরে আইপিএলের নেশায় বুঁদ ছিলেন ভারতীয়রা। তবে ২০২৫-এর আইপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে চমক বা জমক ছিল তা ধরা পড়ল না মঙ্গলবারের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। কোনও সন্দেহ নেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল বিনোদনে ভরা। ঠিক তেমন বিনোদনের স্পর্শ মিলল না সমাপ্তিতে। এদিকে এবারের আইপিএল চলাকালীন তাল কাটে ভারত-পাক সংঘাতে। দু দেশের এই সংঘাতে ভারতীয় সেনারা সব দিক থেকে পর্যুদস্ত করে ছাড়ে পাক সেনাদের। আর সেই কারণেই আইপিএল -এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতের আর্মড ফোর্সকে সম্মান জানানোর। নাচ-গানের মাধ্যমে দেশপ্রেম তুলে ধরা হল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। পারফর্ম করলেন শঙ্কর মহাদেবন এবং তাঁর দুই ছেলে সিদ্ধার্থ ও শিবম।
এদিনের এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ সাজানো হয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকার রঙে। প্রথমে সেখানে হয় নাচের অনুষ্ঠান।‘মেরে দেশ কি মিট্টি’, ‘দেশ মেরে দেশ মেরে মেরি জান হ্যায় তু’ গানের সঙ্গে হয় নাচ। এদিকে গ্যালারিতে সমর্থকদের হাতেও ছিল জাতীয় পতাকা। তাঁরাও নাচতে থাকেন সুরের তালে তালে। নৃত্য পরিবেশনের পর একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়। এটি উৎসর্গ করা হয় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনিকে। সেখানে তুলে ধরা হয়, কী ভাবে পাহাড়,জঙ্গল,সমুদ্র,সমতলে সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলেছে আমাদের দেশকে। অনুষ্ঠানের শেষে দুই ছেলেকে নিয়ে পারফর্ম করতে আসেন শঙ্কর মহাদেবন। ‘বন্দেমাতরম’ থেকে ‘হাম হ্যায় হিন্দুস্তানি’, প্রায় ১০টি গান গান গাইতে দেখা যায় তাঁদের। মঙ্গলবারের সন্ধেয় এইভাবেই অপারেশন সিঁদুরে সাফল্যকে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সম্মান জানানোর পাশাপাশি বিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগ মন কেড়ে নিয়েছে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকের পাশাপাশি টেলিভিশন সেটেও চোখ রেখেছিলেন যাঁরা তাঁদেরও।