পোশাকি নাম ‘বুথ সশক্তিকরণ’। তবে এটা কোনও প্রকাশ্য বা সর্বজনীন কর্মসূচি নয়। বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেডের অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি। কিন্তু ‘নীলবাড়ি’ দখলের আসন্ন লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে এই কর্মসূচি এখন বিজেপি নেতৃত্বের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়,’বুথ সশক্তিকরণ’ অভিযানে শুধু রাজ্য নেতৃত্ব নন,কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধিরাও সরাসরি ময়দানে নামছেন। আর সেখানে তাঁরা মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র এবং বুথের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়েও দেখবেন বলে সূত্রে খবর। পরিস্থিতি এমনই যে, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক (রাজনৈতিক) মঙ্গল নিজে মণ্ডল স্তরে গিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে সূত্রে খবর, সাংগঠনিক নির্বাচন এবং বিভিন্ন স্তরের কমিটি গঠনের গতিবিধি পর্যালোচনা করতে গত ৭ মে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক (সাংগঠনিক) বনসল। সেই বৈঠকেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপর বিজেপি সূত্রের দাবি করা হয়, বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলো শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, জেলা স্তর পর্যন্ত কোনও সমস্যা না থাকলেও তার নিচের স্তরের সংগঠনের চেহারা সম্পর্কে খাতায়-কলমে যে হিসাব দেখানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে তার বিস্তর ফারাক।