এই জয় মৃত্যুহীন হলে ভালো হত, মন্তব্য পার্থর

গ্রেপ্তারির পর তৃণমূলের মহাসচিব পদ থেকে শুরু করে মন্ত্রিত্ব, যাবতীয় পদ হারিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, দলের প্রতি ভালোবাসা অটুট এখনও। আর তা মাঝেমধ্যেই নিজের বক্তব্য়ে বুঝিয়েও দেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। তবে এদিন পঞ্চায়েত ভোট তৃণমূলের ঝড় উঠলেও কোথাও যেন এক আক্ষেপের সুর শোনা গেল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গলায়।

মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে প্রবেশের মুখ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জানান, ‘মা- মাটি-মানুষের জয় হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়।’

তবে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের কণ্ঠে ধরা পড়ে হতাশার এক সুর। বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষের এই জয় যদি মৃত্যুহীন হত, তা হলে ভালো হত।’

প্রসঙ্গত, ৮ তারিখ ভোটের দিন রাজ্যে বিভিন্ন অংশে হিংসার ছবি সামনে এসেছিল। রক্ত ঝরেছে ১৮ জনের। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন মৃত্যু হয় ১০ জনের। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সরব রক্তক্ষয়ী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছিল, ৯টির মতো বড় ঘটনা এবং ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০টির মতো বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বুথের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। ফলে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে এক শতাংশের কম বুথে। একইসঙ্গে ‘উসকানি’-র অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূলের নিশানায় ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

ফলে তৃণমূল বিরোধীদের নিশানা করছে এবং হিংসার যাবতীয় খতিয়ান অস্বীকার করছে, এমনই এক প্রেক্ষিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে একাধিকবার দলের হয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 13 =