নথি জাল করে বাংলাদেশের নাগরিকের স্কুলে চাকরি পাওয়ার মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে , এমনটাই আদালত সূত্রে খবর।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার পুলিশ অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক উৎপল মণ্ডলকে আদালতে হাজির করে। তিনি এই দেশের নাগরিক না হয়েও জাল নথি দাখিল করে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, এই অভিযোগে মামলা হয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতের তরফে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি এই দেশের নাগরিক কি না তা নিয়ে। অভিযুক্তের বক্তব্য, তাঁর এদেশের ভোটার, আধার কার্ড আছে। এরই প্রেক্ষিতে এদিন আদালত জানতে চায়, এই দেশের নাগরিক কি না তিনি দিতে পারবেন কি না। এই প্রশ্নেক অবশ্য কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি উৎপল মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, উৎপল মণ্ডল নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিমল সরকার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি, অথচ সেই জায়গায় বাংলাদেশি ওই নাগরিক অবৈধভাবে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আদালতে বিমলবাবুর তাঁর আইনজীবী সৌমেন দত্ত জানান, আরটিআই করে দেখা যায় উৎপল মণ্ডল বাংলাদেশের বাসিন্দা। ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশ এইট পাশ করার পর এদেশে এসেছিলেন। এখানে আসার পর দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি স্কুল থেকে নথি জাল করে মাধ্যমিক পাশের সার্টিফিকেট বের করেন। তারপরে অবৈধভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি স্কুলে চাকরি পান। অথচ বিমান সরকারের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি। সেই মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি ওই শিক্ষক যাতে স্কুলে ঢুকতে না পারেন সেই নির্দেশও দেন বিচারপতি।।