কয়েক মাস আগে তৃণমূলের ‘পরামর্শদাতা সংস্থা’ আইপ্যাককে নিশানা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সদ্য কর্মিসভার এক বৈঠক থেকে ফের একবার দলের কর্মীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে যাঁরা আছেন, তার মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ তৃণমূলের দেওয়া চাকরি পেয়েছেন। এঁদের মধ্যেই কিছু কর্মী আছেন যাঁরা তৃণমূল দলটাকে খুবলে নিয়েছেন।”
এখানেই থেমে থাকেননি কামারহাটির বিধায়ক। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এমন কেউ নেই যাঁদের তৃণমূলের জুতোর তলায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে। তার কারণ বাঁচানোর মতো কোনও বাবা আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে না। এর পাশাপাশি ব্লক সভাপতিতের নিদান দেন, ‘প্রত্যেক ওয়ার্ড ধরে ধরে রিপোর্ট নিতে হবে, কারা মিটিং মিছিলে আসছেন না, সভায় থাকছেন না তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।’
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়,এর আগেও দলের একাংশকে নিশানা করে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছিলেন মদন। দলীয় পদ নিয়ে টাকার খেলা চলছে বলে অভিযোগ করেন কামারহাটির বিধায়ক। বলেছিলেন, ‘আমি মদন মিত্র একজন এমএলএ ছিলাম, আমার কোনও ক্ষমতাই ছিল না। রাতারাতি আমি এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছি। তা এখন আমার পদ চাই। আমি বললাম ভাই আমায় একটা মন্ত্রী করে দে। না ভাই, মন্ত্রী হতে গেলে, ভাল মন্ত্রী হতে গেলে ১০ কোটি লাগবে, আমি ১০ কোটি দিয়ে দিলাম। মন্ত্রী হল কী হল না পরের কথা। যদি হয়ে গেলাম তাহলে ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি বানালাম, আর যদি না হলাম ১০ কোটি চলে গেল। এফআইআর করা যায় না। কারণ, এর মধ্যে এর কোনও ডকুমেন্টস নেই। এই হচ্ছে টাকার খেলার লেনদেন।’