এনআরএসের অডিটোরিয়ামে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বেসরকারি সংস্থার কোচিং ক্লাস, প্রশ্ন উঠল বৈধতা নিয়ে

এনআরএস-এর ভিতরে যে বেশ বড় ক অডিটোরিয়াম রয়েছে তা জানেন অনেকেই। হঠাৎ-ই সেখানে বসে থাকতে দেখা যায় প্রচুর ছাত্রকে। খোঁজ নিয়ে এও জানা যায় তাঁরা সব ডাক্তারি পড়ুয়া তাঁরা।  কিন্তু আশ্চর্যের ঘটনা হল এই সব পড়ুয়ারা সবাই এনআরএস-এর নন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। কিন্তু তাঁরা এখানে কেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেতই সামনে এল কোচিং ব্যবসার ঘটনা। আর তা রমরমিয়ে চলছে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চত্বরে।  সূত্রে খবর,  নিট-পিজি-র জন্য দু’বছরে পড়ুয়া পিছু কোচিং ফি পঁয়ষট্টি হাজার থেকে ষাট হাজার টাকা। আর তারই জন্য এনআরএস-এএসে হাজির হচ্ছেন বর্ধমান- ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে,এভাবে সরকারি হাসপাতালের ভিতর বেসরকারি কোচিং চালানো যায় কি না তা নিয়েও। আর এখানেই প্রশ্ন,কীভাবে সম্ভব এমনটা হওয়ার। প্রশ্ন উঠেছে, কার অনুমতিতেই চলছে এই কোচিং ক্লাস তা নিয়েও। এদিকে ওই বেসরকারি কোচিং সেন্টারের এক এজেন্ট এও জানান, এমন ঘটনা শুধু নীলরতন সরকারেরই নয়, চলছে আরজি করেও।
এদিকে যাঁরা এই কোচিং নিতে আসেন তাঁদের মধ্যেই বর্ধমান থেকে আসা এক পড়ুয়া জানান, ‘এখানে আমি পিজি ভাড়া নিয়েছি। বছরে কোর্স ফি ষাট হাজার টাকা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য এই কোচিং ক্লাসে ভর্তি হয়েছি।’এদিকে এ প্রসঙ্গে  কোচিং সংস্থার এজেন্ট জানান, ‘আমরা থার্ড ইয়ার নিট-পিজির জন্য অনুশীলন করাচ্ছি। সেটা আগের বছর আরজি করে হচ্ছিল। এবার হচ্ছে এনআরএস-এর অডিটোরিয়ামে। কোনও সময় বাইরেও হয়। স্টুডেন্টস কাউন্সেলিংয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ওরাই দেখছে বিষয়টা।’ অর্থাৎ, কোচিং সংস্থার এই এজেন্টের কথা অনুসারে স্টুডেন্টস কাউন্সিলিংয়ের অনুমতিতেই রমরমিয়ে চলছে এই কোচিং ব্যবসা। এ প্রসঙ্গে স্টুডেন্ট কাউন্সিলিংয়ের সভাপতি অমৃত আর্য জানান, ‘আমরা যে ফান্ড পাই সেটা প্রফিটেবল নয়। আমরা মাইক্রো বায়োলজি ডিপার্টমেন্টকে ডিজিটাল মাইক্রোস্কোপ দিয়েছি। আরজি করে কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এই ক্লাস হয়েছে। তবে আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই হয়েছে।’
তবে এই বিষয়ে এনআরএস-এর অধক্ষ্যার আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলনি। তবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, ‘সরকারি মেডিক্যাল কলেজে বেসরকারি মেডিক্যাল সংস্থা কোচিং করাতে পারে না। এনআরএস-এর অধ্যক্ষর কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। সরকারি মেডিক্যাল পরিকাঠামো ব্যবহার করে বেসরকারি কোচিং সংস্থার ব্যবসা বেআইনি। অধ্যক্ষের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 4 =