অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তপ্ত বিধানসভা, বিজেপি বিধায়কদের ওয়াক আউট

অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করতে হবে,এই দাবিতে বুধবার উত্তাল হল বিধানসভা। এদিন এই ইস্যুতে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর ওয়াক আউটও করেন তাঁরা।
বোলপুরের আইসি-কে ফোন করে হুমকি, কদর্য ভাষায় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কথা এই সমগ্র বিষয় থেকেছে সংবাদ শিরোনামে। যার জেরে চলতি মাসের শুরু থেকেই তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। আর এই ঘটনায় ঘরে-বাইরে চাপে পড়তেও হয় অনুব্রতকে। শুধু তাই নয়,দলের নির্দেশে ক্ষমাও চেয়েছেন, থানায় দিয়েছেন হাজিরাও। তবে এই ব্যাপার চাপা পড়ে যাক তা মোটেই চাইছে না  বিজেপি। কারণ, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন আসতে খুব একটা বাকি নেই। আগের যে সব ইস্যুতে বাংলার রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল তার কোনওটাকেই তেমন ভাবে কাজে লাগাতে দেখা যায়নি বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেডকে। তবে এবার এই ইস্যু হাতছাড়া করতে চাইছেন না বিজেপি বিধায়করা। কারণ,পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে শাসক বিরোধী মনোভাব তৈরি করতে পারলে তা আখেরে কাজে লাগবে বিরোধীদের। আর সেই কারণেই বিধানসভা উত্তাল করেন তাঁরা।
এদিকে মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডল বিরুদ্ধে মুলতবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। অধিবেশনের শুরুতেই মহিলা বিজেপি বিধায়করা অনুব্রত মণ্ডলের কুকথা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের দাবি, এসআরডিএ-এর চেয়ারম্যান অনুব্রত মোবাইলে যেভাবে পুলিশ আধিকারিক ও তাঁর স্ত্রীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন তাতে মহিলা সমাজও  অপমানিত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআরডিএ অর্থাৎ রুরাল ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে অনুব্রতকে নিযুক্ত করেন। এরপর তিনি যখন গরু পাচার মামলায় জেলে যান, সেই ২ বছর ওই পদ শূন্যই পড়েছিল। পুলিশ আধিকারিককে কদর্য বাষায় আক্রমণেরক ঘটনায় বুধবার বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন তোলেন, অনুব্রত কীভাবে সরকারি এক কর্মচারিকে গালি দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ এই পদে বহাল থাকবেন তা নিয়েও। এরপর বিজেপি একটি মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । বিজেপি বিধায়করা তখন বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শুরু হয় ওয়াকআউট।
অন্যদিকে অনুব্রতর ওপর চাপ বাড়াতে সক্রিয় জাতীয় মহিলা কমিশন। ডিজিকে চিঠি দিয়ে অনুব্রতর ফোন কেন বাজেয়াপ্ত করা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।  অনুব্রত মণ্ডল মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইস অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
এমনকি, অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার সময়ে কোনও ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে কি না তা ডিজির দেওয়া আগের রিপোর্টে উল্লেখ নেই বলেও জাতীয় মহিলা কমিশনের মঙ্গলবারের চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 19 =