ক্রমেই দুষ্কৃতিদের নন্দন কানন হয়ে উঠছে কলকাতা। তারই দৃষ্টান্ত মিলল শুক্রবার কালীঘটে। ভরদুপুরে খুন করা হল কালীঘাট থানার বেণীনন্দন স্ট্রিটের সোনার দোকানের কর্মীকে। সূত্রে খবর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওইসোনার দোকনের কর্মীকে কোপায় স্থানীয় এক যুবক। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝামেলা থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন সোনার দোকানের কর্মীর ছেলেও। আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। এদিকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দোকান সংস্কারের জন্য শুক্রবার দুপুরে একটি মালবাহী গাড়ি এসে পৌঁছয় ওই এলাকায়। সেই গাড়ি বেরনোর সময় হরিশ চ্যাটার্জি রোডের কাছে একটি সোনার দোকানের সাইনবোর্ডও ভেঙে যায়। এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। চিৎকার শুনে দোকান থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন সৌমেন নামের ওই ব্যক্তি।
এই বচসা চলাকালীন ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন স্থানীয় অশেষ সরকার ওরফে পিকলু। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে অশেষও। বচসায় জড়ান অশেষ ও সৌমেন। ক্রমেই গলার সুরও চড়তে থাকে অশেষের। হঠাৎই অশেষ ওরফে পিকলু পকেট থেকে ছুরি বার করে সৌমেনের বুকে, পেটে ও ঘাড়ে একের পর এক কোপ মারেন। ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সৌমেন ।
এদিকে ঘটনাস্থলে তখন হাজির হয় পিকলুর ছেলে অঙ্কুর সরকার। এই ঝামেলা থামাতে গেলে অঙ্কুরকেও আক্রমণ করে অশেষ। তাকেও ছুরি মারা হয়। অঙ্কুরও রক্তাক্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই তাঁকে দ্রুত এসএসকেএম-এ নিয়ে যান স্থানীয়রা। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় সৌমেনকেও। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে সৌমেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অঙ্কুরের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আপাতত এসএসকেএম-এ তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত অশেষ ওরফে পিকলু। পুলিশ সূত্রের খবর, পিকলুর বিরুদ্ধে এর আগেও তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে কালীঘাট থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।