বর্ষা প্রবেশ দক্ষিণবঙ্গে

দীর্ঘ জ্বালাপোড়ার পর স্বস্তির খবর আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। উত্তরবঙ্গে ২০ দিন আটকে থাকার পর অবশেষে বর্ষা পা রাখল দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপের হাত ধরে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তবে বেশ কয়েকদিন আগে গত ২৯  মে বালুরঘাটে ঢুকে পড়েছিল বর্ষা। এরপর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় তা থমকে থাকে। এরপর মঙ্গলবার মৌসুমী অক্ষরেখা প্রবেশ করে সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার বেশিরভাগ অংশ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বেশ কিছু অংশে। এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা না বাড়লেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি। বুধবারও কলকাতাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বীরভূম জেলাতে।
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ১৯ জুন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। মালদহ ও উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই। বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষামঙ্গলের পূর্বাভাস। মৌসুমী বায়ুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলায়। পূর্বাভাস ভারতের মৌসম ভবনের। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের কিছু অংশে এবং আগামী দুই -তিন দিনে পশ্চিমবঙ্গ বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাতের আরও কিছু অংশে মৌসুমী অক্ষরেখা প্রভাব বিস্তার করবে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =