খিদিরপুর বাজারে আগুন লাগার ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ,কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ও দামী যে সব জমি রয়েছে তাতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে গরিব ব্যবসায়ীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বড় বড় প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার। নাম করে ফিরহাদ হাকিম ও সুজিত বসুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
একইসঙ্গে শুভেন্দু এও জানান,’রাত ১টায় আগুন লাগে। আর দমকল আসে ভোর ৪টেয়। এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী সব জানতেন। তিনি আগুন নেভাতে বলেননি। বলেছেন পুলিশ ও দমকলকে ঘর ভেঙে দিতে। গোটা খিদিরপুর বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন,’টিএমসি এখন টাকা মারা কোম্পানি। কলকাতার ভালো ভালো জায়গায় আগুন লাগিয়ে বেচে দাও, আর মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন ‘জায়গা ঠিক হয়েছে, এক লাখ দিলাম।’ আর এখানেই বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন,’কী হবে ওই জায়গায়?’এর পাশাপাশি শুভেন্দুর সংযোজন, ‘শপিং মল, বিউটি পার্লার তৈরি হবে? গরিব মানুষ তাড়িয়ে দাও।’
এরই রেশ ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলে দেন শুভেন্দু। বলেন,’আপনারা তো বলেছিলেন, বাংলার মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। তাহলে কেন তাঁকে হাজার পুলিশ দিয়ে আপনাদের ধমকাতে হয়েছে? তিনি গরিব ব্যবসায়ীদের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। জমি রক্ষার আন্দোলনে আমি ডক্টরেট। আমি সিপিএমকে হারিয়ে দিয়েছিলাম নন্দীগ্রামে। মমতাকে হারিয়ে ভবানীপুরে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এর পাশাপাশি শুভেন্দু আরও এক পা এগিয়ে বলেন, বগটুই হোক বা ঢাকুরিয়া, সরকারি ভ্রান্তনীতির জন্যই আগুন লাগছে। সরকারি কোনও পদক্ষেপ নেই, সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। টালিগঞ্জ-ঢাকুরিয়ার জমিও বিক্রি করে দিচ্ছে। খালি শপিং মল, ফ্ল্যাট, আর গরিব মানুষের উচ্ছেদ।’ একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। জমি রক্ষার লড়াইয়ে যা যা করার করব।’ এরই পাশাপাশি দিয়ে গেলেন জমি ও গরিব ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলনের বার্তাও।