বিধানসভায় বিধায়কদের ঢোকার সময় গাড়ি তল্লাশি। আর তা নিয়েই ক্ষোভ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িও তল্লাশি করতে হবে। আর এই ইস্যুতেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ককে। ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষী জানান, ‘আমার কাছে যা অর্ডার আছে আমি সেই অনুযায়ী করছি।’ এরপর কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘নিয়ম তো সকলের জন্য সমান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িও কি পরীক্ষা করা হয়? কেউ তো আইনের উর্ধ্বে নয়। আমার গাড়িতে তল্লাশি চালানো হলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িও চেক করা হবে। আমি আলাদা কোনও সুবিধা চাইছি না।’ এখানেই শেষ নয়, এরপর বিজেপির একটি উত্তরীয় দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার নিরাপত্তারক্ষী বলছেন এটা সরাতে হবে।’ আর এখানেই অগ্নিমিত্রার প্রশ্ন, কেন সরাবেন তিনি। কারণ, বড় বড় তৃণমূলের বিধায়কদের গাড়িতে লেখা থাকে ‘এগিয়ে বাংলা’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও চিপকানো থাকে। সেক্ষেত্রে কিছু বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে না যে গাড়ি ঢুকবে না। শুধু এই উত্তরীয় থাকলে যত সমস্যা কেন তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়িকা। এরই পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘প্রতিটি জিনিস থাকবে। কিছু সরানো হবে না।’ সঙ্গে ক্ষোভের সঙ্গে কটাক্ষ করে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়,’ ওঁরা বোধহয় খবর পেয়েছেন, ভিতরে বম্ব ব্লাস্ট করবেন বিজেপি বিধায়করা। মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের কচুকাটা করার সময় খবর থাকে না।’
প্রসঙ্গত, গত ১৩ই জুন থেকে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের গাড়ি তল্লাশি শুরু হয়। বিজেপির দাবি, প্রতিবাদ করতে দেওয়া হবে না বলে এত কড়াকড়ি। এরই রেশ টেনে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালেরও প্রশ্ন, ‘তুলসী গাছ নিয়ে বিধানসভার ভিতরে যাতে কেউ না ঢুকতে পারে সেই কারণে কি এত তল্লাশি?’ তবে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিনই বলেছিলেন, ‘নিরাপত্তরাক্ষীকে পরিষ্কার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তল্লাশির জন্য। কে কী নিয়ে আসছেন তা তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়, যাঁরা গেটের দারোয়ান রয়েছেন তাঁরাই চেক করবেন। এটা নিরাপত্তার বিষয়। তাই আমরা চাই না এমন কিছু ঘটুক যাতে বিধানসভার কাজ ব্য়হত হয়।’