দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে বালি বোঝাই করতে গিয়ে জলে একের পর এক লরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বেলেখালি এলাকায়। সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও সকালে বালি বোঝাই করার জন্য দ্বারকেশ্বর নদের গর্ভে থাকা অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে বেলেখালি বালি খাদানে পৌঁছায় বেশ কিছু লরি। সঙ্গে হচ্ছিল বালি বোঝাইয়ের কাজও। এরই মাঝে এদিন সকাল থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর। দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বুঝতে পেরেই দ্রুত লরিগুলিকে নদের পাড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। কিছু লরি নদের পাড়ে উঠতে পারবেও ৬ টি লরি পড়ে থাকে নদের গর্ভেই। এদিকে জলস্তর বাড়তে বাড়তে লরিগুলির প্রায় অর্ধেক জলের তলায় চলে যায়। জলস্তর বৃদ্ধির হার একই থাকলে লরিগুলি সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে লরিগুলির চালক থেকে শুরু করে বালি পরবহণকারীদের।
এদিকে বর্ষার শুরুতেই বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে বাঁকুড়া জেলায়। ইতিমধ্যেই জয়পন্ডা নদীর জল হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে তালডাংরা ব্লকের একাধিক গ্রামে। গত ৪৮ ঘন্টায় বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মোট ২১০ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪২ মিলিমিটার। ইতিমধ্যেই জয়পন্ডা নদীর জলও হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে তালডাংরা ব্লকের একাধিক গ্রামে। জমা জলে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই জেলায় মোয় পাঁচটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে নিয়ে আসা হয়েছে জয়পন্ডা নদী তীরবর্তী একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। অন্যদিকে আমোদর নদের জলে প্লাবিত হল বাঁকুড়ার কোতুলপুর আরামবাগ রাস্তা। রাস্তার উপর দিয়ে কোথাও এক কোমর জল বইছে আবার কোথাও জল বইছে গলা সমান। ফলে মা সারদার পবিত্র জন্মভূমি জয়রামবাটির মাতৃমন্দিরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। ফলে উদ্বেগের মেঘ গোটা জেলাতেই।