প্রতিবাদী চিকিৎসকের বাড়ি যাওয়ার পথে সুকান্তকে আটকালো পুলিশ

চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ারপথে ভবানীপুরে রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে পুলিশ। এই ডঃ রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই ব্রিটেনের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য় রাখার সময় বিক্ষোভ করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এদিকে ওই চিকিৎসকের দাবি, এদিকে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলকে না জানিয়ে ব্রিটেনে প্র্যাকটিস করছেন তিনি।  এর প্রেক্ষিতে চিকিৎসকের পাল্টা দাবি, কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করাতেই তাঁকে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনই এক প্রেক্ষিতে তিনি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেন। তাঁর আমন্ত্রণে সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার বিকেলে ভবানীপুরে চিকিৎসকের বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, চিকিৎসকের বাসভবন থেকে বেশ দূরে থাকা অবস্থাতেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। সুকান্ত দাবি করেন, পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে জানান যে, ডাক্তারবাবু বাড়িতে নেই।
এদিকে সুকান্তর আসার খবর পেয়ে চিকিৎসক বাড়ি থেকে বেরিয়ে  যেখানে সুকান্ত মজুমদারকে আটকানো হয় সেখানে এসে পৌঁছে যান। দেখাও করেন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে।
এরপরই ডাঃ রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবাদী প্রশ্ন করার পর থেকেই তিনি সরকারের রোষানলে পড়েছেন। তাঁর দাবি, কলকাতায় আসার পর থেকে তাঁর উপর ক্রমাগত নজরদারি চলছে। বাড়ির আশেপাশে পুলিশি নজরদারি চলছে বলেও দাবি করেন। এমন সব ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ভীত। সঙ্গে এও জানান,  এদিন তাঁর আমন্ত্রণেই সুকান্ত মজুমদার দেখা করতে আসছিলেন। তিনি মিষ্টি সাজিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু, বিনা কারণেই সুকান্তকে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে প্র্যাকটিসও করি না। আমাকে এসব দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। আমি এগুলোতে ভয় পাই না।’
অন্যদিকে এই ঘটনায় রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও জানান, ‘শান্তিপূর্ণভাবেই চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথে তাঁদের আটকে বলে দেওয়া হয় যে চিকিৎসক বাড়ি নেই।’
উল্লেখ্য, ভবানীপুরের যে এলাকায় চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্য়োপাধ্যায় থাকেন, তার কাছেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। এরপর  সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চিকিৎসক ও বিজেপি নেতার কথা শেষ হতেই এগিয়ে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। সুকান্তকে  আটক করে তোলা হয় পুলিশের লাল রঙের টাটা সুমোয়। একইসঙ্গে আটক করা হয় আরও কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীকে। এরপর গাড়ি এগোতে গেলে সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী। তবে তাঁদের সরিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। এরপর ভিড় কাটিয়ে বেরিয়ে যায় পুলিশের লাল গাড়ি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =