বর্ষার মরশুমে স্কুল ছুটির সময়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে তৈরি হয় ব্যাপক যানজট। এই যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে লালবাজারের পক্ষ থেকে সমস্ত নির্দেশ গেল সব ট্রাফিক গার্ডে। এই নির্দেশে স্কুল ট্র্যাফিককে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত রাস্তাঘাট স্বাভাবিক করা যায় তারই উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল ছুটির সময়ে অধিকাংশ অভিভাবকই গাড়ি নিয়ে সরাসরি স্কুল গেটের সামনে পৌঁছতে চান। এতে স্কুলের গেটে একটা জট পাকায়। এদিকে মূল রাস্তায় মাত্র ২ থেকে ৫ সেকেন্ড কোনও গাড়ি দাঁড়ালে তার জন্য যে দেরি হয় তাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে যানবাহন চলাচলে। তবুও পুলিশের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তাই প্রথম অগ্রাধিকার। দরকার হলে তৈরি করা হোক ছোট ছোট ডাইভারশন। এতে এক রাস্তায় গাড়ির ভিড় এড়ানো যাবে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থাকে প্রয়োজনমতো ম্যানুয়াল মোডে পরিবর্তন করছে, যার রিপোর্ট সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে লালবাজারে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশে ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্বরত এক আধিকারিক জানান, ‘আমরা ছোট ছোট ডাইভারশন তৈরি করছি। সব গাড়িকে এক রাস্তায় ঘুরিয়ে না দিয়ে বড় বাস ও ছোট গাড়ির জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করছি।’
এদিকে কলকাতা কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতি গত এই তিন দিনে স্কুল ঘিরে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল ২০ শতাংশ বেড়েছে।।পার্ক স্ট্রিট, লাউডন স্ট্রিট ও এজেসি বোস রোড এলাকায় এই বৃদ্ধির হার ৩০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয়েছে গড়িয়াহাট, খিদিরপুর, এপিসি রোড, এজেসি বোস রোড ও সোহরাওয়ার্দি অ্যাভিনিউতে। বর্ষা চলাকালীন এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে। ফলে কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ ঠিক কতটা কার্যকরী হয় তার দিকেই তাকিয়ে শহরবাসী।