অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে তৎপরতা শুরু হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা নির্দেশের পরেই এই তৎপরতা বেড়েছে বহু গুণে। এই তৎপরতা বাড়তেই ১৯৯১ সাল থেকে দক্ষিণ কলকাতায় পরিচয় গোপন করে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্তে নামল পুলিশ।
এদিকে পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, এই ব্যক্তি সম্পর্কে আগেই অভিযোগ পেয়েছিল এফআরআরও বা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি এফআরআরও-এর আধিকারিকরা অনুসন্ধান চালিয়ে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। আর এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই সামনে আসে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও বৈধ নথি ছাড়া অবৈধ ভাবে এদেশে চলে আসেন ১৯৯১ সালে। তারপর এদেশের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করেন। সরকারি আধিকারিকদের কাছে নিজের পরিচয় গোপন করেই পরিচয়পত্র বানিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও প্রতারণা করেন বলেও জানা গেছে অনুসন্ধানে।
এই অনুসন্ধান শেষে এফআরআরও এর তরফে বিষয়টি জানানো হয় সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে। যৌথ ভাবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় ভবানীপুর থানায়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভবানীপুর থানা ইতিমধ্যে মামলা রুজু করেছে। এর তদন্ত করছে সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।