ক্যানিংয়ে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ জাতীয় মহিলা কমিশনের। এখানেই শেষ নয়, আগামী সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার মৃত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। কথাও বলবেন তাঁদের সঙ্গে, শুনবেন তাঁদের কথাও। শনিবার এমনটাই জানান অর্চনা মজুমদার।
গত ১৬ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে বাড়ি থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। গত ১৯ জুন স্থানীয় রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন অর্চনা মজুমদার। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘স্থানীয় রিপোর্ট বলছে, ওই নাবালিকাকে ১৬ জুন রাতে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না।’ একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার বার্তা দেন তিনি।
ক্যানিংয়ের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। বাংলায় মেয়েরা সুরক্ষিত নন বলেও পোস্টে দাবি করেন তিনি। ওই পোস্টের সঙ্গে নাবালিকার ব্লার করা ছবিও দেন। অমিত মালব্যের ওই পোস্টের ভিত্তিতে এদিন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, অমিত মালব্য নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করেছেন। কারণ, নাবালিকার মুখ ব্লার করার চেষ্টা হলেও পরিষ্কার নাবালিকাকে বোঝা যাচ্ছে। সেই কারণে এদিন অমিত মালব্যকেও শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, তা জানাতে তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছে অমিত মালব্যকে।
এদিকে, বারুইপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়, বিষাক্ত কিছু খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও যৌন নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা নাবালিকার ছবি প্রকাশ করেছেন, সেইসব অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করে পুলিশ।