ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শেষ হতে আরও ৪ থেকে ৫ বছর, জানালেন দেব

ঘাটালে বন্যারে বিপর্যস্ত জনজীবন। কারণ, ঘর-বাড়ি থেকে স্কুল-পাঠশালা সব জলের তলায়। এখন দুর্গতদের একমাত্র ভরসা ত্রাণ। এবার এই  বন্যা হতেই ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করা হল না তা নিয়েও। শুধু তাই নয়, এই প্রশ্ন তুলে সাংসদকে ‘ঢপবাজ’ বলে কটাক্ষও করা হয়েছে। অবশেষে এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ দেবকে।
এই প্রসঙ্গে দেব নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, বন্যা হলে মানুষকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তাতে তাঁদের অভিমান হওয়াই স্বাভাবিক। সরকার যে দুর্গতদের পাশে রয়েছে সেই নিয়েও লেখেন তিনি। একইসঙ্গে দোষারোপ করেন কেন্দ্রকেও। এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিগত দশ বছর ধরে লোকসভার সকল অধিবেশনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সপক্ষে সওয়াল করে এসেছি । অনেক চেষ্টার পরও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। ২০২৪ সালে রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় এবং এক তৃতীয়াংশ বাজেট অর্থাৎ ৫০০ কোটি বরাদ্দ করে।’
এই প্রসঙ্গ টেনে তিনি এও জানান, ‘ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কাজ শুরু হয়। এই মাস্টার প্ল্যানের। ৭৮ কিলোমিটার + ৫২ কিলোমিটার নদীর ড্রেজিং থেকে শুরু করে বাঁধ,ব্রিজ ,খাল কাটা,খালের সংস্করণ,কৃত্রিম নদী তৈরি করা,জমি অধিগ্রহণ সবই আছে। যা শেষ হতে লাগবে কমপক্ষে ৪  থেকে ৫ বছর। ‘
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই বর্ষায় বন্যায় ডুবে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। ধসে যায় একের পর এক বাড়ি, তলিয়ে যায় আপনজন, গবাদি পশু থেকে সর্বস্ব। আর এই
বন্যার হাত ঘাটালবাসীকে উদ্ধারের জন্যই এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। পাঁচের দশকে প্রথবার সংসদে ঘাটালের বন্যার সমস্যার কথা তোলেন বাম সাংসদ নিকুঞ্জবিহারী চৌধুরী। এর পরই ঘাটালের বন্যা সমস্যা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটিই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব গৃহিতও হয়। এরপর শীলাবতী, ঝুমি থেকে বয়েছে জল। কিন্তু প্ল্যান-প্ল্যানই থেকেছে। কার্যকর হয়নি। এখন তৃণমূল আমল। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আদতে কবে কার্যকর হবে তারই প্রতীক্ষায় সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 11 =