ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই ইরানকে আঘাত করেছে আমেরিকা। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহেরানও। মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকিও দেওয়ার পাশাপাশি ‘গ্লোবাল অয়েল লাইফলাইন’ বলা বলে পরিচিত হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তেহেরান। আর রবিবারই এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিতে দেখা যায় ইরানের সংসদকে।
এরপরই ফের ইরানকে সতর্ক করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও জানান, এমন সিদ্ধান্ত ইরান নিলে আরও বড় একটা ভুল করবে। একই সঙ্গে তিনি এও জানান, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ইরানের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহত্যার সমান।
প্রসঙ্গত, রবিবারই ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে আমেরিকা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। এই প্রণালী বন্ধ করার অনুমোদন সেই দেশের সংসদ দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বলে জানান ইরানের সাংসদ ইসমাইল কোসারি।
উল্লখ্য, বিশ্বের মোট জ্বালানি বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ নির্ভর করে ইরান ও ওমানের মধ্যবর্তী এই সংকীর্ণ পথের উপরেই। এই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হলেই প্রভাব পড়বে তেল সরবরাহে। ফলে তেলের দাম বেড়ে গিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিতরতা তৈরির আশঙ্কা থাকছে।
তবে ইরানের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও জানান, ‘ আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিকল্প তৈরি করে রেখেছি। অন্য দেশগুলিকেও এ দিকে নজর দেওয়া উচিত। কারণ হরমুজ় প্রণালী বন্ধ হলে আমাদের চেয়ে অন্য দেশগুলির অর্থনীতি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’এরই সঙ্গে রুবিও এও জানান, হরমুজ প্রণালী নিয়ে ইরানের সঙ্গে কথা বলা উচিত চিনের। প্রসঙ্গত,ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে আমেরিকার হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বেজিং। তারপরেই মার্কিন বিদেশ সচিব জানিয়েছেন,চিন তাদের দেশে তেলের জন্য হরমুজ প্রণালীর উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল । তাই বেজিংয়ের উচিত এই নিয়ে তেহেরানের সঙ্গে কথা বলা।